অনেকেরই দাবি অনেক ভাড়া খরচ করে হাসপাতালে আসতে হয়েছে। বলা হয়েছিল ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের এদিন হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তার জন্য লাইনও দেওয়া হয়। কিন্তু, দুপুর নাগাদ হঠাৎ পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয় যে, শুধু ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পোস্টার পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় বিক্ষোভ। উত্তেজনা ছড়ায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। ভ্যাকসিন নিয়ে এই বিক্ষোভের জেরে কার্যত উধাও হয়ে যায় শারীরিক দূরত্ব বিধি। বিক্ষোভকারীরা জানান, অনেকেই দুরদূরান্ত থেকে টাকা খরচ করে টিকা নিতে এসেছেন । এভাবে ঘুরে যেতে হলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা ।
advertisement
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রথমে বলা হয়েছিল বেলা দেড়টা অবধি ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারপর ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের দেওয়া হবে। যার জন্য কয়েক শ' মানুষ লাইন দেন হাসপাতালে । অথচ দুপুরে জানানো হয়, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ভ্যাকসিন আসেনি। কর্তৃপক্ষ এই নোটিশ ঝোলাতেই বিক্ষোভকারীরা নোটিশ ছিঁড়ে ফেলে দেন। শুরু হয়, বচসা, তর্কাতর্কি।
যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বি এম ও এইচ অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, "১৮-৪৪ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিন সোমবার শেষ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার নতুন করে ভ্যাকসিন আসেনি। যেভাবে ভ্যাকসিন আসবে সে ভাবেই দিতে হবে। এদিন হাসপাতালে কাউকে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিতে বলা হয়নি। এরপরেও প্রচুর মানুষ ভিড় করায় নোটিশ দিয়ে ভ্যাকসিন নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।’’
Sebak DebSarma
