পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্য়ক্তির নাম অতুল লাল৷ তিনি একজন রেলকর্মী ৷ তাঁর স্ত্রী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে অতুলের স্ত্রীর কোভিড পরীক্ষা হয় ৷ তাতে তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে গতরাতে নিজের স্ত্রীকে খুন করেন অতুল ৷ এর কিছুক্ষণ পরেই নিজেও একটি বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি ৷ তবে কী কারণে আত্মহত্য়া তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ আশপাশের অনেকের অনুমান, স্ত্রীর কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অতুল৷ সেকারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন৷
advertisement
অন্যদিকে এমনই করোনার কারণে অবসাদ ও তার জেরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতেও। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে এক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর আত্মহত্যা করার খবর শিরোনামে উঠে আসে শনিবার। হাসপাতালের মধ্যেই আত্মঘাতী হয়েছেন ৬২ বছরের বৃদ্ধ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। বিজয়নগরের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই শনিবার আত্মঘাতী হয়েছেন ওই রোগী। মৃতের নাম রমন্না ছিক্কেগৌড়া। তাঁর ছেলের দাবি, 'কয়েকদিন আগেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন বাবা।'
গত বছর করোনার প্রথম ধাক্কাতেও বার বার শিরোনামে উঠে এসেছিল এই ধরণের ঘটনা। এবার দ্বিতীয় ঢেউতেও সেই একই ছবি পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন মনোবিদরাও। তাঁদের মতে, করোনা সংক্রমণের জেরে সামাজিক ও পারিবারিক দিক থেকে একা হয়ে যাচ্ছেন মানুষ আর তার সুযোগেই ঢুকে পড়ছে অবসাদ। গ্রাস করছে একাকিত্ব। বাড়ছে মানসিক জটিলতা। সামাজিক ক্ষেত্রে একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয় থেকেই কী তবে এই ধরণের চরম রাস্তা বেছে নিচ্ছেন মানুষ? উত্তর খুঁজছেন মনোবিজ্ঞানীরা।