ফার্মাসিউটিক্যাল বায়োটেকনোলজি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। মালয়শিয়া ও লিবিয়ার একদল গবেষক বলেছেন যে, পাম অয়েল রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। আবার ভিটামিন E-র ঘাটতি মেটাতেও সক্ষম এই তেল। ইঁদুরের লিভারের কোষে এই তেলের গুণাগুণ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গিয়েছে যে এই তেল অ্যান্টিএজিং এজেন্ট হিসেবেও কাজ করে।
advertisement
ভিটামিন E-র কথা তো আগেই বলেছি, যা ত্বক আর চুল ভালো রাখে। উপরি পাওনা হিসেবে এতে আছে টোকোফেরল ও টোকোট্রাইনলস যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে শরীরের
কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাঁচায়।
গবেষকরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন ডায়েটে পাম তেল যোগ করতে। কী ভাবে সেটা করা যায় দেখে নেওয়া যাক:
১. আপনি এত দিন যে তেলে রান্না করেছেন, তার বদলে পাম তেল ব্যবহার করুন। খুব সমস্যা হলে প্রতি এক দিন অন্তর এই তেলে রান্না করুন।
২. যেখানে যেখানে মাখন ব্যবহার করতেন রান্নায়, সেখানে মাখনের বদলে পাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৩. মাংস বা মাছ ম্যারিনেট করার জন্যও এই তেল ব্যবহার করা যায়।
৪. স্যালাডের উপরে অলিভ অয়েল না ছড়িয়ে পাম তেল ছিটিয়ে দেখুন। স্বাদ আর পুষ্টি দুই বেড়ে যাবে।
৫. আটা বা ময়দা মাখার সময় দু’-এক ফোঁটা পাম তেল দিয়ে দিন। যখন কুকিজ বা বিস্কিটজাতীয় কিছু বেক করছেন, তখনও পাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৬. ভাজাভুজি খাওয়ার সময় এই তেল সস বা ডিপ হিসেবে সহজেই ব্যবহার করা যায়। আবার সস বা আচারে এই তেল সামান্য মিশিয়ে দিলে স্বাদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।