পরিবারের তরফ থেকে তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে জানানো হয়, করোনার সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি করোনার দু'টি ডোজ়ই নিয়েছিলেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে একটি বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, চিকিৎসক হওয়ার পর থেকেই মানুষ ও সমাজের কল্যাণে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন কে কে আগরওয়াল। এমনকি, করোনা পরিস্থিতিতে তিনি জনসাধারণকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিয়ো দেখিয়ে ও শিক্ষামূলক কর্মসূচির দ্বারা সচেতন করার চেষ্টা করেছেন । করোনাকালে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ডঃ আগরওয়াল। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বিভিন্ন ভিডিয়োর মাধ্যমে সচেতনতামূলক পোস্ট করতেন তিনি। তাঁর বহু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এইভাবেই ১০০ কোটিরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছিলেন জনদরদী চিকিৎসক।
advertisement
১৯৭৯ সালে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাশ করেন কে কে আগরওয়াল। চিকিত্সাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী প্রদান করা হয়। বর্তমানে তিনি হার্ট কেয়ার ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, "তিনি সবসময় চাইতেন যে তাঁর জীবনের কাজগুলিকে যেন উদযাপন করা হয়। মৃত্যুতে যেন শোকপ্রকাশ করা না হয়।" এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করার জন্য তিনি ক্রমাগত তাঁর ফেসবুক পেজে করোনা ও ব্ল্যাক ফাংগাস সংক্রান্ত তথ্য পোস্ট করে গিয়েছেন। মানুষের পাশে থেকে তাঁদের কাছে পৌঁছে তাঁদের সমৃদ্ধ করাতেই কাজের আনন্দ খুঁজে পেতেন মানুষটি। করোনা অভিঘাতে তাঁর এই অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না পরিবার তথা তাঁর অনুরাগী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।