করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ (Coronavirus Second Wave) দেশে আছড়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি করে প্রকট হয়েছে অক্সিজেনের সংকট (Oxygen Crisis) ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেনের অভাবে প্রিয়জনদের হারাতে হয়েছে হাজার হাজার পরিবারকে৷ জীবনদায়ী অক্সিজেনের জন্য হাসপাতালগুলিতে দেখা গিয়েছে হাহাকার৷ রাজধানী দিল্লির মত শহরেও মানুষকে দেখা গিয়েছে একটু অক্সিজেনের জন্য পথে ঘাটে হাহাকার করতে। সেই অক্সিজেনই ইচ্ছেকৃতভাবে খুলে দিয়ে পাঁচ মিনিটে ২২ জন কোভিড রোগীকে কার্যত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হল আগ্রার হাসপাতালে৷
advertisement
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় সেরকমই দাবি করা হয়েছে ৷ কাউকে কিছু না-জানিয়ে চুপিসাড়ে অক্সিজেনের ভুয়ো মহড়া (Oxygen Mock Drill) চালানো হয় বলে অভিযোগ৷ অক্সিজেনের সংকটের সময়ে কোন কোভিড রোগী অক্সিজেন ছাড়া থাকতে পারবেন, আর কারা পারবেন না, তা বুঝে নিতে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ অভিযোগ, ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপে এই কথা স্বীকার করেছেন খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একজন। জানা গিয়েছে এমন 'মারণ' মক ড্রিল চলাকালীনই মুহূর্তে নীল হয়ে যায় করোনা রোগীদের দেহ ৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন তাঁরা।
এই ভিডিও শেয়ার করে ট্যুইটারে কটাক্ষ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অক্সিজেন সংকট নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও প্রধানমন্ত্রীর দাবি তুলে ধরে এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। এর জন্য দায়ী কে সেই প্রশ্নও তুলেছেন সোনিয়া কন্যা।
ভিডিয়োটি দেখার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন৷ ভিডিয়োয় অক্সিজেন সংকট নিয়ে কথোপকথন দেখা গিয়েছে৷ এটি যে হাসপাতালের ঘটনা, সেখানকার ম্যানেজারের সামনে বসে কথা বলতে শোনা গিয়েছে এক ব্যক্তিকে ৷ হাসপাতালের ম্যানেজার তথা মালিক অরিঞ্জয় জৈনকে বলতে শোনা গিয়েছে, "মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বলে দিয়েছিলেন আর অক্সিজেন পাওয়া যাবে না৷ মোদি নগরে একেবারেই অক্সিজেন ছিল না৷ আমরা পরিবারগুলিকে বোঝাতে শুরু করি৷ কয়েকজন কথা শোনেন৷ তবে অনেকেই হাসপাতাল ছাড়তে রাজি হননি৷ তখন ভাবি, একটা ভুয়ো মহড়া করা যাক ৷ তাহলে আমরা বুঝতে পারব, অক্সিজেন ছাড়া কারা বাঁচবেন আর কারা বাঁচবেন না৷ সকাল সাতটায় এই ভুয়ো মহড়া চালানো হয়৷ এ ব্যাপারে কেউ জানত না৷"