ডিজিসিএ সূত্রে খবর, গত 25 দিন ধরে সারাদেশের ডোমেস্টিক ফ্লাইট শুরু হয়েছে। কিন্তু পূর্ব ভারতে ডোমেস্টিক ফ্লাইটের ট্রাফিক বাকি দেশের তুলনায় অনেক কম। শুধুমাত্র কিছু পরিযায়ী শ্রমিক এবং পড়ুয়া, যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁদের মধ্যেই চাহিদা রয়েছে। যার ফলে বিপুল লোকসানের মুখে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স। গো এয়ার আপাতত কোন বিমানই চালাচ্ছে না পূর্ব ভারত থেকে। এই মুহূর্তে মোট 61 টা ফ্লাইট চলাচল করছে পূর্ব ভারত থেকে। যা আগামী দিনে বাড়ার থেকে কমার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, চাহিদা না থাকলে শুধু শুধু বিমান চালিয়ে ক্ষতির মুখ দেখতে চায় না বিমান সংস্থাগুলি।
advertisement
স্বভাবতই সার্বিক এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়েছে বিমান সংস্থা এবং এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অনুসারী শিল্প সংস্থাগুলির। ওই সব সংস্থাগুলি এখন হা-পিত্যেশ করে বসে আছে এই আশায় যে, যদি আনলক আরও বাড়লে পরিস্থিতি ফেরে এবং বিমান শিল্পে আবার রমরমা বাজার ফিরে আসে।
স্পাইসজেটের পূর্ব ভারতের জেনারেল ম্যানেজার দেবজিৎ ঘোষ বলেন, "পূর্ব ভারতে এই মুহূর্তে বিমান পরিষেবার চাহিদা অনেক কম। তাই, এখানে এয়ারক্রাফ্ট রয়েছেও কম। এই মুহূর্তে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা কম বলে আমরা এয়ারক্রাফ্টের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে চাহিদা অদূর ভবিষ্যতে বাড়লে নিঃসন্দেহে আমরা ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়াব।"
ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পূর্ব ভারতীয় শাখার চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি বলেন, "সারা ভারতে সবচেয়ে কমদামী ফ্লাইট যারা চালায়, সেই গো-এয়ার এখানে কার্যকলাপই শুরু করেনি। চাহিদা যা রয়েছে, তা শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিক এবং পড়ুয়াদের। যা একেবারেই একমুখী। কাজেই চাহিদা না থাকলে শিল্প বাড়বে কী করে। আর শিল্পকর্তাদের যাতায়াত করার চাহিদাও পূর্ব ভারতে এখন নেই। ফলে, এখনই পূর্ব ভারতে বিমান শিল্পে জোয়ার আসার সম্ভাবনা কম।"
Shalini Datta