গ্রাহকদের অভিযোগ সিলিন্ডার বুক করলেও সিলিন্ডার পেতে দেরি হচ্ছে তাদের। অধিকাংশ জায়গায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে কোথাও দোকান বন্ধ, তো কোথাও আবার গ্যাস ডেলিভারি করার বয় নেই। সংস্থার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ডেলিভারি বয়রা কাজে যোগ দিতে পারছেন না। আর গ্রাহকদের কিছু করার নেই কারণ গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে তারা সিলিন্ডার নিজেরা নিয়ে আসতে পারছেন না। বিশেষ করে সমস্যায় পড়ছেন মহিলা আর প্রবীণ মানুষেরা। যারা নিজেরা এই পরিস্থিতিতে দোকানে গিয়ে সিলিন্ডার আনার কথা ভেবেছিলেন, তারাও পুলিশি টহলের ভয়ে শেষ পর্যন্ত নিয়ে আসার সাহস দেখাতে পারেননি।
advertisement
ফলে গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া যাবে তো, এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে অনেকের। এই চিন্তা তো অমূলক কিছু নয়। চারিদিকে লকডাউন। কতদিন এই লকডাউন চলবে তা তো বুঝতে পারছিনা। ফলে বারবার ধরে ফোন করে খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমি তো আর গিয়ে নিজে নিয়ে আসতে পারব না। এমনটাই জানাচ্ছেন ৬৩ বছরের রঞ্জিত বাবু। তার ছেলে বাইরে থাকে। তিনি আর তার স্ত্রী থাকেন। লকডাউনের জেরে ছুটিতে গিয়েছে বাড়ির পরিচারিকাও।গ্রাহকদের চিন্তা যে স্বাভাবিক তা মেনে নিচ্ছেন ডিলাররাও। তাদের দাবি, করোনা সংক্রমণের ভয়ে কিছু গাড়ির চালক ও ডেলিভারি বয় কাজে যোগ দিচ্ছেন না।
বিশেষ করে ডেলিভারি বয়গুলি কাজে যোগ দিতে ভয় পাচ্ছে। যদি কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ডেলিভারি বয়কে সাহস জুগিয়ে নিয়ে আসলেও অনেকেই আসতে রাজি হচ্ছেন না। এই অবস্থায় সব জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার পৌছে দেওয়ার কাজে গতি শ্লথ হয়েছে। তবে তেল সংস্থা ও ডিলারদের দাবি, গ্যাস উৎপাদন ও সিলিন্ডারের জোগান এখন স্বাভাবিক আছে। তবে গত ৪ দিন বুকিংয়ের পরিমাণ এক ধাক্কায় বেড়ে গেছে অনেকটাই। ইন্ডেন জানিয়েছে, তাদের গ্যাস বুকিং বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এইচ পি গ্যাসের বুকিং বেড়েছে ৪০ শতাংশ আর ভারত গ্যাসের বুকিং বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। গড়ে গোটা রাজ্যে সিলিন্ডার পৌছে দেওয়া হয় প্রতিদিন আড়াই লাখের কাছাকাছি। বুকিং হয় প্রায় ২ লক্ষ। যদিও গত তিনদিনে তা ৩ লক্ষ হয়ে গিয়েছে। তাই ডিলারদের দাবি, প্যানিক বুকিং বন্ধ হোক। ডেলিভারি বয়দের সাহায্য করা হোক। গৃহস্থ সিলিন্ডার ঠিক পাবে।
Abir Ghoshal