দেখে নেওয়া যাক যা যা বললেন মমতা-
জয় নিয়ে মমতা
এই জয় উন্নয়ন, শান্তি, সম্প্রীতির জয়। আমরা বিভেদ চাই না, আমরা ঐক্য চাই। এই বার্তা আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা মনে করি আমরা ৯৫ ভাগ মানুষকে উন্নয়নের আওতায় আনতে পেরেছিলাম। দুয়ারে রেশন থেকে শুরু করে সব কাজই একটু একটু করে করব। তবে অগ্রাধিকার করোনাই।
advertisement
করোনা মোকাবিলা
প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজকে অক্সিজনে সেন্টার করার নির্দেশ দিচ্ছি। এখন ৩০ হাজার বেড হয়ে গিয়েছে। বহু কর্পোরেট সেক্টর আমাদের সাহায্য় করেছে। উত্তীর্ণ, কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, সেন্ট জেভিয়ার্স সেফ হোম ও ফিল্ড হাসপাতাল হয়েছে। বহু হোটেল বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছে। আমরা চাইব কর্পোরেটরা আমাদের সাহায্য করুক। সেই টাকায় আমরা বেড বাড়াতে পারব। গোটা টাকাটাই অডিট হবে। অনেকেই ইতমধ্যেই অক্সিজনে দিয়েছে। আমাদের প্রয়োজন ৫৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। তিন কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম। কোভিড সরঞ্জামে জিএসটি নেওয়া উচিত নয়। সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিতে পারে।
হাত বাড়ানোর আবেদন
আগের বার ঝড় সামলেছিলাম। এবার আমাদের চ্যালেঞ্জ করোনা। আমার আবেদন লকডাউন নয় কিন্তু লকডাউনের মতো ব্যবহার। লকডাউন করলে গরিব মানুষ খেতে পাবে না। তাই সময় বেধে দিয়েছি। ছোট বস্তি থেকে মাল্টিন্যাশানাল বিল্ডিং সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবো। বহু চেম্বারস নানা বাজারের দায়িত্ব নিয়েছে। পুজোকমিটিকেও করোনা মোকাবিলার কাজে লাগাব।
সংবাদমাধ্যমকে আবেদন
উত্তেজনা ঝড়াবেন না। অতিমারী আইন খুব কড়া। দয়া করে মানুষের জন্য কাজ করুন। চিকিৎসকরা সাধ্য মতো কাজ করছে। ছোট নার্সিংহোম, ছোট হাসপাতাল এগিয়ে এসছে। ইতিবাচক ভূমিকা পালন করুন।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল নিয়ে মমতার বার্তা
ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে বিজেপির আইটি সেল। ২৪ ঘণ্টায় সেন্ট্রাল টিম এসেছে। ন্যূনতম সৌজন্য আছে কেন্দ্রের। প্রতিনিধিদল বিজেপির নেতাদের বাড়িতে গিয়ে ঘুরছে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মমতা নির্দেশ দিলেন, রাজ্যে যাঁরাই আসুক তাদের যেন আরটিপিসিআর টেস্ট হয় তা নিশ্চিত করতে।
সার্বিক উন্নয়ন
পেনশন, কৃষকের টাকা, স্কলাশিপ কিছুই আটকাবে না। স্কুল, মেডিক্যাল কলেজ বাড়াতে হবে। আমরা পশ্চিমবঙ্গবাসীর বেঁচে থাকার মানের সার্বিক উন্নয়ন করতে পারি।