সংক্রমণের ক্ষেত্রে যদি এই বয়সের ছেলে-মেয়েদের উপর খুব বেশি প্রভাব না-ও পড়ে, মনে রাখতে হবে এই গোটা অতিমারীর সময় জুড়ে কিন্তু সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁরাই। স্কুল, কলেজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে, স্বাভাবিক সামাজিক জীবন হারাচ্ছে শিশু এবং তরুণেরা। ইউনিসেফ-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে প্রায় ৪৬০ মিলিয়ন শিশু বাড়ি থেকে ক্লাস করার সুযোগ পায়নি। তাঁদের পড়াশোনা, ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে বিরাট ক্ষতি তো হয়েছেই, সঙ্গে বাড়ি থেকে না বেড়িয়ে শুরু হয়েছে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যাও। শুধু তাই নয়, সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনার জেরে অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ থাকায় মৃত্যু হয়েছে ৫ বছরের কম বয়সী, ২ মিলিয়ন শিশুর। করোনা সংক্রান্ত ক্ষতি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই উঠে আসে নব প্রজন্মের কথা।
advertisement
করোনার সংক্রমনের হার কিছুটা কমতে শুরু করায়, খোলা হয়েছিল বেশ কিছু স্কুল। কিন্তু ফের এই নয়া স্ট্রেনের উপদ্রবে, বিশেষত ব্রিটেনে, স্কুল ফের বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ দিকে ভারতবর্ষে এখন এক-এক করে খোলা হচ্ছে স্কুল। তবে পুনরায় যেন ব্রিটেনের মতো সিদ্ধান্ত নিতে না হয়, মাথায় রাখতে হবে সে কথাও।