গত ৮ এপ্রিল জ্বর হয়েছিল ভারত পাঞ্চালের। করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার প্রায় ২ সপ্তাহ পর প্রথম জ্বর আসে তাঁর। চারদিনের মধ্যে তাঁর ফুসফুসের বিপুল অবনতি নয় এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখতে হয়। করোনার সিটি ভ্যালু পৌঁছেছিল ২১ থেকে ২৫-এ। এর পরই শরীরে আরও নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে শুরু করে তাঁর। বেশ কয়েকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সমস্যা শুরু হয়।
advertisement
তাঁর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, ভারতের কিডনি, লিভার বিকল হতে শুরু করে। শরীরে সেপসিস এবং মাল্টিঅর্গান বিকল হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর পরই চিকিৎসকেরা লক্ষ্য করেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরে ফেলেছে তাঁর শরীরে। প্রায় ৭০ দিন ধরে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও রোগীর শরীরে যা যা জটিলতা দেখা দিতে পারে, তার সবটাই হয়েছিল ভারতের। তবে গত ১৫ মাসে এতদিন ধরে লড়াই করা কোনও রোগীকেও তাঁরা দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
চিকিৎসকেরা ভারতকে রেমডিসিভির, প্লাজমা থেরাপি ও অন্য সবরকম চিকিৎসা করেও কোনও সুফল পাচ্ছিলেন না। এরই সঙ্গে তাঁর পরিবার এতদিন ধরে হাসপাতালের খরচ চালাতেও হিমশিম খাচ্ছিল। এর পর ফুসফুস থেকে রক্তপাত শুরু হলে আশাই ছেড়ে দিয়েছিল গোটা পরিবার। কিন্তু এই ঘটনার ১৫ দিন পরেই ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ফেরেন ভারত। গত সোমবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।