মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে এসেছিলেন চল্লিশ জন শ্রমিক। সেখান থেকেই রাজ্য সরকার বাসে চাপিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তাঁদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে। মঙ্গলবার রাতে শ্রমিক বোঝাই বাস ঢুকে পড়তে চাইছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সেই বাস আটকে দেয় আউসগ্রাম থানার পুলিশ। শ্রমিকদের জেলায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মাধবডিহি এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করে পঞ্চাশ জন শ্রমিকদেরর একটি দল। তাঁরাও কয়েকটি বাসে এসেছিল ওড়িশা থেকে। তাঁদের মধ্যেই ছিল তিরিশ জন স্থানীয় শ্রমিক। তাঁদের কয়েকজনকে থাকার অনুমতি দেওয়া হলেও ওড়িশা থেকে আসা কুড়ি জন শ্রমিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, শারীরিক পরীক্ষা না করে বাইরের রাজ্য থেকে আসা কোনও শ্রমিককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ওই শ্রমিকরা জেলায় ঢুকতে না পারলেও তাঁরা পাশের জেলায় রয়েছেন। প্রথমে সকলের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করা হবে। সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। থার্মাল গান দিয়ে দেহের তাপমাত্রা নেওয়া হবে। সুস্থ থাকলে শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। অসুস্থ শ্রমিকদের পাঠানো হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সেখানে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন সকলেই উদ্বিগ্ন। এলাকায় অনেকেই বহিরাগতদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এই অবস্থায় শ্রমিকরা গ্রামে ঢুকলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের বাধা দিতেই পারেন। তার জেরে এলাকা অশান্ত হতে পারে। তাছাড়া ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই সাবধানতা হিসেবেই এই ব্যবস্থা।
Saradindu Ghosh