ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। ৮ এপ্রিল বুধবার কলকাতা নারকেলডাঙ্গার বাসিন্দা এক মহিলা প্রসব বেদনা নিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১০ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার অস্ত্রপচার করে তার সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের পরপরই তার জ্বর, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুত তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়। রবিবার রাতে সেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, প্রসূতি করোনা আক্রান্ত। করোনা হয়েছে এই খবর চাউর হতেই সাড়া হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসাধীন অন্যান্য প্রসূতিদের মধ্যেও ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়। আরও বেশি করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের বাহিরে অপেক্ষারত প্রসূতিদের আত্মীয় পরিজনরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কর্তব্যরত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাফাইকর্মীরা অনেকেই।
advertisement
হাসপাতালের অনেকেই ওয়ার্ডে কাজ করতে অস্বীকার করেন। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক শুরু করে। সোমবার সকালেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নতুন করে কোনও রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না। যে সমস্ত প্রসূতির অবিলম্বে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন তাদের অন্য বিভাগে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রপচার করা হবে, খুব আশঙ্কাজনক রোগীদেরকে পাশের ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসা করা হবে। যদিও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, হাসপাতাল চিকিৎসাধীন সব রোগীর পরিষেবায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার সব ব্যবস্থা করা হবে। তবে ওই মহিলা কীভাবে বয়া কার সংস্পর্শে এই এই মারণ ভাইরাসের করাল গ্রাসে পড়লেন, তা জানা যায়নি।
ABHIJIT CHANDA