আজ শনিবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, কমিশন ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে আর আমার দলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করে নিচ্ছে। আমার কাছে সমস্ত হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট আছে। আমি নির্বাচন মিটলেই সুপ্রিম কোর্টে যাব। মমতা আরও বলছেন, ২০১৬ সালেও অনেক সহ্য করেছি। দেশে আগামী দিনে কী ভাবে নির্বাচন স্বচ্ছ ভাবে করা যায় তা আমরা দেখে নেবো।
advertisement
পক্ষপাতের অভিযোগের পাশাপাশি মমতা অবশ্য জয় নিয়ে আশাবাদী। তাঁর যুক্তি, এত কিছু করেও বিজেপি সত্তরটা পেরোবে না।
দীর্ঘদিন ধরেই ভোট সংযুক্তিকরণের দাবি তুলে এসেছে তৃণমূল। কমিশন সেই কথায় কর্ণপাত করেনি। এদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করোনা। এদিন মমতা বলেন, কমিশনের কাছে আমরা কোনও বিচার পাচ্ছি না। বিজেপির কথা শুনে নির্বাচন কমিশন ভোট করায় কোভিড এতটা বেড়েছে।
মমতার অভিযোগ একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পুলিশ কথাবার্তা বলছেন। সেখানে তৃণমূলকে বোঝাতে ট্রাভেলমঙ্গার কোড ব্যাবহার করা হচ্ছে। এবং তৃণমূল-দুষ্কৃতীদের আটক করার কথা বলা হচ্ছে। মমতার প্রশ্ন, "কেন তৃণমূলের লোককে আগেভাগে আটক করা হবে বিজেপিকে সুবিধে দেওয়ার জন্য?"
যা ঘটছে তা পরিকল্পনামাফিক তা প্রমাণে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী এদিন বেশ কয়েয়কটি উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মঙ্গলকোট, বুদবুদ, উত্তর দমদমের নেতাদের ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত রেখে দেওয়া হয়েছে।
এই 'তথ্য' নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যেতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, "রাজধর্ম পালন করলে আমার কোনও অসুবিধে নেই। আমরা বেশি মাথা নত করে ফেলেছি। অযৌক্তিক আবদার মানব না।"
মমতা আরও বলছেন, নন্দীগ্রাম পর্ব থেকে এই 'অভিসন্ধি' তিনি ধরতে পারছিলেন। তাঁর কথায়, "নন্দীগ্রাম দেখে আমার চোখ খুলে গিয়েছে। আব্দুর সামাদের ড্রাইভারকে সারাদিন থানায় বসিয়ে রাখার কথা বলছে।"
