সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার তার বার্তায় স্পষ্ট বুঝিয়েছেন কলকাতা পুলিশের প্রত্যেক স্তরের কর্মীরা লকডাউন পর্বে যেভাবে কাজ করছে, তাতে তিনি যথেষ্টই খুশি। তবে এতদিনের মতোই আগামীতেও সেই একই উদ্যমে লকডাউন বিধি কড়া হতে লাগু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের সমস্ত ডিসি ও থানার ওসিদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সিপির বার্তা। বলা হয়েছে, সমস্ত স্তরের পুলিশকর্মীদের কাছেই যেন তার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
advertisement
কলকাতা পুলিশের সব স্তরের কর্মী অফিসারদের উদ্দেশ্যে সিপির বার্তা, "লকডাউনকে কঠোরভাবে লাগু করার কাজ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। যে উদ্যম নিয়ে এতদিন আপনারা কাজ করছেন সেভাবেই আগামী দিনগুলোতে কাজ করতে হবে। কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, লকডাউনের নিয়ম মানা, যত্রতত্র থুতু ফেলা বা নোংরা ফেলতে দেখলে সে ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এসব নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন।"
দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার প্রাথমিক পর্বেও পুলিশ কমিশনার তাঁর বাহিনীর কর্মী অফিসারদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন। তখন তিনি করোনা সচেতনতায় কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে পুলিশকর্মীদের আগে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সব রকম ভাবে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করার ব্যাপারে সচেতন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই লকডাউন বিধি অমান্য করায় কলকাতায় বহু মানুষ গ্রেফতার হয়েছে। যত্রতত্র থুতু ফেলা, মাস্ক না পরে বেরোনোর অভিযোগেও ৫০০-র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার তাঁর এবারের বার্তাতেও এই বিষয়গুলির উপরেই জোর দিতে বলেছেন।
লকডাউন বিধি সঠিকভাবে লাগু করার জন্য যে সমস্ত পুলিশকর্মীরা রাস্তায় নেমে কাজ করছেন তাদের উদ্দেশ্যে লিখিত বার্তা ছাড়াও, তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে নিয়মিত খোঁজ নেন পুলিশ কমিশনার। লকডাউনের মাঝেও তাঁকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কলকাতায় লকডাউন ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা নিজের চোখে দেখেছেন তিনি। এমনকী করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা কতটা জরুরি তা বোঝাতে নিজের মাস্ক পড়া সেলফি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করেছেন অনুজ শর্মা। তবে পুলিশের আক্ষেপ, সব রকমভাবে চেষ্টা করলেও একাংশের মানুষ এখনও সচেতন হননি। তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না লকডাউনকে।
Sujoy Pal