পূর্ব দিল্লির ঝিলমিল ওয়ার্ডের জ্বালানগর শ্মশান৷ শুক্রবার দুপুরে বাইরে তখন সার দিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ৷ অথচ ফুরিয়ে গিয়েছে দাহ করার কাঠ! খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। শেষমেশ মৃতদেহ সৎকারের কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ যাঁর পক্ষে যতটা সম্ভব মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করেন তাঁরা৷ ঘরে মজুত কাঠ, ভাঙা চেয়ার টেবিল শ্মশানে দাহকার্যের জন্য দান করেন এলাকার মানুষ৷
advertisement
পরিস্থিতি এমন হয় যে কেউ কেউ ঘরের দরজা, জানলা, টেবিল, চেয়ার পর্যন্ত তুলে নিয়ে চলে আসেন শ্মশানে৷ সেই কাঠেই চলে একের পর দেহ সৎকারের কাজ ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ পঙ্কজ লুথরা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘করোনার দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তদের মৃত্য়ুর ঘটনাও ৷ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে শ্মশানে জায়গা কম পড়ছে ৷ শবদেহ দাহ করার মতো কাঠও আর পাওয়া যাচ্ছে না৷’’
নেতার দাবি, শ্মশানে কাঠ ফুরিয়ে যাওয়ার খবর কানে যেতেই তা গোটা এলাকার মানুষকে জানিয়ে দেন তিনি ও দলের সদস্যরা ৷ পাশাপাশি, এলাকাবাসীর কাছে আবেদন করেন, কারও ঘরে যদি অব্য়বহৃত কাঠ পড়ে থাকে, তা যেন বাইরে এনে রাখেন তাঁরা ৷ সেই কাঠ শ্মশানে পৌঁছে দেওয়া হবে৷ পঙ্কজ জানিয়েছেন, তাঁর আবেদনে ব্য়াপকভাবে সাড়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ প্রায় সকলেই নিজেদের সংগ্রহে থাকা বাতিল কাঠের সামগ্রী বাইরে এনে রাখেন ৷ যা পঙ্কজ নিজে গাড়ি করে শ্মশানে পৌঁছে দেন৷ সব মিলিয়ে দু’ট্রাক কাঠ শ্মশানে সরবরাহ করা হয় ৷ তাতে আপাতত ওই শ্মশানে চলছে দেহ সৎকারের কাজ।