#কলকাতা: সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার ট্রাফিক পুলিশের কাছে একটা চ্যালেঞ্জের দিন। শহরের বুকে গাড়ি সচল রেখে পুরো সপ্তাহভর জানান দেওয়া রাস্তাঘাট সচল। বারবার ধীর গাড়িকে দ্রুত করা বা দ্রুত গাড়িকে লাগাম দিয়ে শহরের বুকে যান চলাচল স্বাভাবিক ছন্দে রাখার কাজ করে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। রবিবারের ছুটি কাটিয়ে সোমবার সকালে শহরের রাস্তা অন্য কথা বলল। শনিবার অথবা রবিবার যে সংখ্যক গাড়ির আনাগোনা হয় রাস্তায় সোমবারও সেই একই চিত্র। অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্যরত অফিসারা মনে করতে শুরু করলেন আজ কি সত্যিই সোমবার? সোমবার যে ব্যস্ত শহরের যান চলাচল এতটাই কম করবে তার কোন আন্দাজ ছিল না ট্রাফিকের। সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা ও বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা থাকে গাড়ির সংখ্যা সব থেকে বেশি। সেই গাড়ি নেই সোমবার অফিস টাইমে। কারণ খুঁজতে বিভিন্ন লোকের কাছে যেতেই স্পষ্ট হল করোনা আতঙ্কের জের।
advertisement
করোনা আতঙ্কের জন্য প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি ছাড়ছেন না কেউ। এদিকে করোনার সর্তক বার্তা শুনে অনেকেই বাড়ি থেকে কাজ করছেন। তবে সোমবার গাড়ি কম হবার মূল কারন হিসাবে জানা গেল শহরের বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। অনিল মোহান্তি রোজই ছেলেকে স্কুলে দিতে ও নিতে যান। সোমবার ফেরার সময় জানালেন অন্যদিনের তুলনায় ১৫ মিনিট কম লাগল। প্রয়োজন ছাড়া বেরবার প্রশ্নও নেই। রোজই গড়িয়া থেকে হাওড়া সরকারি বাস চালান কৃষ্ণ রায়। সোমবার তার সময় লেগেছে ৩০ মিনিট কম। শহরের সব থেকে ব্যাস্তগুলির মধ্যে মনে করা হয় বাইপাস। সোমবার বেশিভাগ লোকই জানালেন রাস্তায় বেরিয়ে এযেন নতুন অভিজ্ঞতা। হাতে অনেক সময় রেখেই পৌঁছাতে পারছেন গন্তব্যস্থলে। গোলপার্ক শহরের যানজট মুক্ত নয়, সোমবার প্রায় সারাদিনই দেখা গেল গতিশীল গাড়ি গোলপার্কে। অনেকেই সোমবার রসিকতার সঙ্গে জানালেন গাড়ি দাড়ালো তো!, শুধুমাত্র সিগন্যালে, যান যন্ত্রণা থেকে করোনা মুক্তি দিয়েছে।