পরে কেন্দ্রের সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার একটি বিমান দমদম বিমানবন্দর থেকে ছাড়বে সকাল সাড়ে ন'টায়। ঢাকায় পৌঁছবে ১০টায়। ওখান থেকে ফের রওনা দেবে দুপুর ১২টায়।
প্রথম দুই পর্যায়ের বন্দে ভারত মিশনে কেন কলকাতা নেই, এ নিয়ে বিস্তর ট্যুইট যুদ্ধের পরেই এই খবর শনিবার সামনে আসে। শুক্রবার রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহু দিন ধরেই বিদেশ থেকে আসা এ রাজ্যের বাসিন্দাদের স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করে আছে। সে জন্য কোয়ারান্টাইন এবং অন্যান্য ব্যবস্থার কথা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানোও হয়েছে।" ট্যুইটের সঙ্গে মুখ্য সচিব রাজীবা সিনহার পাঠানো দু'টি চিঠির প্রতিলিপিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
এর আগে বৃহস্পতিবার ট্যুইট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বিদেশমন্ত্রক আমাদের এটা বিশ্বাস করতে বলছে যে, জর্জিয়া থেকে গুজরাতে আসার আর কিরঘিজস্তান থেকে বিহারে ফেরার প্রচুর মানুষ আছেন। অথচ, কলকাতায় ফেরার কেউ নেই! এই অন্যায় বন্ধ করুন।"
শিক্ষামন্ত্রীর ট্যুইটের পরে পরেই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব পাল্টা ট্যুইটে জানিয়ে দেন, "কেন্দ্র রাজ্যগুলির মধ্যে ভেদাভেদে বিশ্বাসী নয়। আমরা বিদেশে আটকে পড়া ৩৭০০ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, যাঁরা আটকে আছেন এবং ফিরতে ইচ্ছুক, তাঁদের ফেরাতে চাই। তার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানাতে হবে, ওখানে ওই সব বিদেশ থেকে আসা মানুষগুলিকে গ্রহণ করা এবং কোয়ারান্টাইনের কী ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা হলে আমরা স্থলপথের সীমান্ত দিয়েও আটকে পড়া বাঙালিদের ফেরত আনব।"
এর পরেই স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে ট্যুইটে প্রমাণস্বরূপ, মুখ্যসচিবের দু'টি চিঠি জুড়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যাবতীয় তথ্য আগেই কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বন্দে ভারত মিশনের মাধ্যমে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার পথে। প্রথম ধাপে বিশ্বের ১২টি দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। প্রথম সাত দিনে যাঁদের ফেরানো হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই কেরল, তামিলনাড়ু এবং দিল্লির বাসিন্দা। এই তিন রাজ্যে মোট ৩৭টি ফ্লাইট ঢুকেছিল। দ্বিতীয় ধাপে ১৪৯টি ফ্লাইট আসবে। কিন্তু সেই তালিকায় ছিল না কলকাতা বিমানবন্দরের নাম। এ বারে অবশ্য সেই তালিকায় যুক্ত হল কলকাতাও।
Shalini Datta