চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীদের দেওয়া খবর বলছে যে দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আপাতত এসে দাঁড়িয়েছে শেষের মুখে। কিন্তু শেষের পরে যেমন আরেকটা শুরু থাকে, ঠিক তেমন করেই এবার নাগরিকদের স্বাস্থ্যে থাবা বসাতে চলেছে মারণ এই ভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ। ফলে, আপাতত দেশ জুড়ে কেবল স্বাস্থ্যব্যবস্থার একটাই লক্ষ্য- ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সম্মিলিত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা এবং যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে সারিয়ে তোলা- তাহলেই ভাইরাসের আক্রমণের সঙ্গে একমাত্র পাল্লা দেওয়া সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে কিছু দিন আগেই সুইজারল্যান্ডের মূল সংস্থা দ্বারা পোষিত রোশে ইন্ডিয়া (Roche India) এবং সিপলা লিমিটেড (Cipla Limited) ভারতে নিয়ে এসেছে অ্যান্টিবডি ককটেল। এবার তার প্রয়োগ শুরু হল কলকাতায় নারায়ণ মেমোরিয়াল হসপিটালের হাত ধরে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সিইও সুপর্ণা সেনগুপ্ত (Suparna Sengupta) জানিয়েছেন যে রোগীর পরিষেবায় তাঁরা সিপলার সহায়তা পেয়ে আপ্লুত। বস্তুত, সিপলার হাত ধরেই অ্যান্টিবডি ককটেলের জোগান পেয়েছে কলকাতা। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক (Subhrojyoti Bhowmick) জানিয়েছেন যে মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছরের ঊর্ধ্বে ৪০ কেজির উপরে যাঁদের ওজন, এই উভয় ক্ষেত্রেই অঅযান্টিবডি কটেল প্রয়োগ করা যাবে। এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে রোগীর অক্সিজেনের দরকার পড়বে না।
প্রসঙ্গত, অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি হয়েছে ক্যাসিরিভিম্যাব (Casirivimab) এবং ইমডেভিম্যাব (Imdevimab) নামের দুই অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণে। এই দুই অ্যান্টিবডি ল্যাবরেটরিতে একসঙ্গে মিলিয়ে এই ওষুধ তৈরি হয়। প্রয়োগের পর এই যৌথ অ্যান্টিবডি যেমন শরীরে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে তাকে নিস্তেজ করে দেয়, তেমনই কোষে ভাইরাস সংক্রমণের পথটিও রোধ করে। জানা গিয়েছে যে এর সিঙ্গল ডোজের খরচ আপাতত দেশে পড়ছে ৫৯,৭৫০ টাকা!
