কিভাবে কাজ করে এই কিয়স্ক??? আর পাঁচটা পুলিশ বা মিল্ক কিয়স্ককের মত এখানেও তিন ফুট বাই চার ফুটের ছোট জায়গা। এর ভেতরে সুরক্ষিত থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা ল্যাব টেকনিশিয়ান। ভেতর থেকেই কাঁচের মাধ্যমে তিনি দেখতে পাবেন বাইরের ব্যক্তি কে। যিনি করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে এসেছেন। কিয়স্ক এর ভিতরে অ্যাপস এর মাধ্যমে তিনি তার সোয়াব সংগ্রহ করবেন। রোগীর সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মীর সরাসরি যোগ না হওয়ায় এতে সংক্রমণের আশঙ্কা শূন্য।
advertisement
এর আগে কলকাতা পুরসভার তরফে র্যাপিড টেস্ট এর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বেলগাছিয়াতে সেই টেস্ট শুরু হতেই মুখ থুবড়ে পড়ে। টেস্টের কি সঠিক না থাকায় সেই র্যাপিড টেস্ট পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় আইসিএমআর।
এদিকে কলকাতা পৌরসভা এলাকায় সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তেই থাকে। তাই পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী ও ল্যাব টেকনিশিয়ানদের এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদেরকে নিয়ে তৈরি হয় ছয় টিম। এই ছটি টিম মোবাইল সোয়াব কালেকশন সেন্টার রূপে কাজ করে। প্রথমে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ক্যাম্প করে সোয়াব কালেকশন শুরু হয়। পরে পুরসভার তরফেই এই ছটি ছটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। আপাতত গড়ে ৩০০ টি করে নমুনা সংগ্রহ করছে এই দল।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার কোভিদ স্পেশাল টিম ঠিক করেছেন ৬ থেকে বাড়িয়ে চৌদ্দটি করা হবে এম্বুলেন্সের সংখ্যা। এর ফলে কলকাতা পুরো এলাকায় সোয়াব কালেকশন বা করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা ৩০০ থেকে বেড়ে হাজার কিংবা বারোশো হতে পারে।
এই পরীক্ষার হার আরও বাড়াতে এবার কলকাতা পুরসভা কিয়স্কের পথে। তবে কটি কিয়স্ক শহরে বসানো হবে এখনA সিদ্ধান্ত নেয়নি কলকাতা পুরসভা। রাজ্যে এই মুহূর্তে ১৮টি করোনাভাইরাস পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা পুরসভার সংগৃহীত সোয়াব পরীক্ষার জন্য প্রথমে এসএসকেএম-এ ও পরে আর জি কর এই দুই হাসপাতালে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কোর্ডিনেটর এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ ঘরে বসেই কলকাতা পুরসভার মাধ্যমে আপনি করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ তা জানতে পারবেন ৷
Biswajit Saha