সমতল থেকে সাধারনত কার্তিক মাস অর্থাৎ নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেখা যায় এত স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। কিন্তু মে মাসে! শেষ কবে দেখেছিল শিলিগুড়ি? মনে পড়ে? প্রবীন বাসিন্দাদের দাবি, ৭০-এর দশকে এই ধরনের আবহাওয়া অনুভূত হত শিলিগুড়িতে। ৮০-র দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ছিল এমনই আবহাওয়া। সেই সময়ে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া একাধীক এলাকা ছিল জঙ্গল ঘেঁষা। ধীরে ধীরে জঙ্গল কেটে গড়ে ওঠে জনবসতি।
advertisement
সেইসব এখন অতীত। এখন চার পাশ শুধুই কংক্রিট। স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রভাব পড়ে শহরের আবহাওয়াতেও। করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলছে। দোকানপাট বন্ধ।চলছে না গাড়ি। নেই কালো ধোঁয়া। দূষণের চোখ রাঙানীও নেই! একেবারে সবুজে মোড়া আবহাওয়া। আর তাই গ্রীষ্মকালেও সমতলে সাদা বরফে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা ফিরে এসছে স্বমহিমায়!
শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকেই আজ স্পষ্ট দেখা গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসু জানান, লকডাউনের প্রভাবেই আবহাওয়ার এই মহিমা। স্কুল শিক্ষিকা অভয়া বসু আবার বলছেন, ছোটোবেলার কথা মনে পড়ছে। আজ গত কয়েক বছরের দূষণ এই লকডাউনের জেরে থমকেছে। তারই প্রভাব পড়েছে পরিবেশে। আজ সকালের কাঞ্চনজঙ্ঘা মন ভালো করার সেরা উপহার!