বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জনগেট চত্ত্বর। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে এই এলাকা। সকাল থেকেই সেই কার্জন গেট চত্ত্বর শুনশান। শহরের বাসিন্দারা তো নয়ই, দেখা মেলেনি ট্রাফিক পুলিশেরও। যান চলাচল করেনি বললেই চলে। শহরের পাঁচ হাজারেরও বেশি টোটোর কোনওটিই রাস্তায় নামেনি এদিন।বি সি রোডের দু পাশে সার দিয়ে দোকান। নানান সামগ্রীর পসরা। সব দোকানই বন্ধ থাকলো এদিন। বন্ধ রইল বর্ধমানের বেশিরভাগ পেট্রল পাম্পও।
advertisement
বর্ধমানে বাজার বসেনি এদিন। বর্ধমানের স্টেশন বাজার, রানিগঞ্জ বাজার, তেঁতুল তলা বাজার, নীলপুর বাজার, পুলিশ লাইন বাজার, কালনা গেট বাজার রবিবার ভিড়ে ঠাসা থাকে। এদিন সেইসব বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা কারও দেখা মেলেনি। বাসিন্দারা বলছেন, বর্ধমান শহরে বিদেশ থেকে এসে হোম কোয়ারান্টিনে আছেন পঞ্চাশ জন। প্রায় দেড় হাজার পুরুষ মহিলা হোম কোয়ারান্টিনে আছেন। তাই বাসিন্দারা যথেষ্ট উদ্বেগে। এই শহরেও করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ভেবেই বাড়তি সতর্ক তারা। সেই কারনেই সরকারের পরামর্শ মেনে এই দিনটা সকলেই হোম কোয়ারান্টিনে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করছেন।
রবিবার স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থাকবেন - সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। শনিবারের মধ্যেই প্রয়োজনের টুকিটাকি, সবজি মুদিখানা বাজার সেড়ে ফেলেছিলেন তারা। রবিবার সকলে বাড়িতে কাটালেন সপরিবারে। অনেকে বলছেন, এর ফলে বাড়িতে থাকার অভ্যাস তৈরি হবে। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর সুফল মিলবে এতে।