আইসোলেশন ট্রেনের প্রতিটি বার্থের বাইরে পর্দা লাগানো হয়েছে। সাইড লোয়ার বার্থের জায়গায় অক্সিজেন সিলিণ্ডার রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও রোগীর প্রচন্ড শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিলে রোগী অক্সিজেনের সহায়তা পাবেন। এছাড়াও কামরাগুলিতে হাই ভোল্টেজ ভেন্টিলেশন মেশিনের জন্যে আলাদা করে সুইচ ও প্লাগের বোর্ড লাগানো হয়েছে। কামরার একটি করে শৌচালয়কে স্নানঘরে পরিণত করা হয়েছে। অর্থাৎ করোনা সংক্রমণে অসুস্থদের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথা চিন্তা করেই তৈরি করা হয়েছে এই করোনা আইসোলেশন ট্রেন। দশটি আইসোলেশন কোচের এই ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনের সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করার জন্য প্রস্তুত রেলের ডাক্তার নার্স এবং মেডিক্যাল স্টার্ফরাও।
advertisement
রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত রেলওয়ে জংশন বর্ধমান। প্রতিদিন লক্ষাধিক পুরুষ মহিলা এই স্টেশনে নামাওঠা করেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীদের ভিড়ে সরগরম থাকে এই রেল স্টেশন। লক ডাউনের পর থেকেই শুনশান স্টেশনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম। জনহীন টিকিট কাউন্টার। সেই স্টেশনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে এই বিশেষ করোনা আইসোলেশন ট্রেনটি। লক ডাউন পর্ব পার করে আবার করে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে এই রেল স্টেশন সেটাই এখন দেখার।
Saradindu Ghosh