রবিবারও দেশে নতুন করে ৬৬৩৪ জন নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে৷ যা এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক৷ এর ফলে করোনা সংক্রমণে গোটা বিশ্বে সবথেকে বেশি আক্রান্তের নিরিখে প্রথম দশটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিল ভারত৷ ইরানকে টপকে দশ নম্বর জায়গায় চলে এসেছে ভারত৷
রবিবারের হিসেব অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৩৮,৪৭৪৷ গত ১৩ দিনে এই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়েছে৷ এখনও চতুর্থ দফার লকডাউন চলায় নতুন সংক্রমণের গতি আরও কিছুটা রোধ করা যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে৷
advertisement
শনিবারই প্রথমবার চিনে নতুন করে কোনও করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি৷ চিন এই মহামারির উৎসস্থল হলেও ক্রমেই তা দক্ষিণ আমেরিকা এবং ভারতে দাপট বাড়িয়েছে৷ চিন, ইউরোপের পর এবার লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশগুলিকেই করোনা সংক্রমণের নতুন কেন্দ্রস্থল বলে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ব্রাজিল এবং মেক্সিকোর মতো দেশে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ এই দেশগুলিতে লকডাউন নিয়ে গাছাড়া মনোভাব দেখানোর জন্য সমালোচিত হয়েছে সেখানকার সরকার৷ কিন্তু পেরু, ইকুয়েডর, চিলির মতো দেশেও এখনও হু হু করে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে৷ অথচ প্রথম দিকে কড়া লকডাউন মেনে চলার জন্য প্রশংসিত হয়েছিল এই দেশগুলি৷
সবথেকে আশঙ্কার কথা, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ব্রাজিলের সঙ্গে অনেকটাই মিল পাওয়া যাচ্ছে ভারতের৷ বর্তমানে ভারতে করোনা সংক্রমণের যে পরিস্থিতি, ১৫ দিন আগে সেটাই ছিল ব্রাজিলে৷ ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷
ভারতে প্রথম ১০ হাজার সংক্রমণ ছড়াতে সময় লেগেছিল ৪৩ দিন৷ আর গত দু' দিনেই ভারতে নতুন দশ হাজার সংক্রমণের খবর মিলেছে৷ ভারতে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় রবিবার ১৩.১ দিন হয়েছে৷ গত ১৮ মে তা ছিল ১৩.৯৷ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণ এখনও চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছয়নি৷ ফলে গাছাড়া মনোভাব দেখানোর কোনও সুযোগই নেই ভারতীয়দের সামনে৷