গড়িয়ার বাসিন্দা সঙ্গীতা দে বলেন, "প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং যে সব খাবার সহজে নষ্ট হবে না, সে সব আমরা অনেকটা করে কিনে রেখেছি। স্টেশনারি জিনিসপত্রও কিনে রাখা হয়েছে। কারণ, এ ক'দিন বাড়ি থেকে বেরনোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না।" সঙ্গীতার স্বামী পার্থ দে-র মতে, "অফিস বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে কিন্তু তাতে অনেক অসুবিধেও হচ্ছে। বাচ্চারা কাজের সময়ে চলে আসছে। ইন্টারনেট কানেকশন নিয়েও নানা সমস্যা হচ্ছে।" সঙ্গীতা ও পার্থর ছেলে ঋধানের অবশ্য খুবই মন খারাপ। কারণ, সে স্কুলে যেতে পারছে না। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খেলতেও পারছে না। ওর কথায়, "স্কুলে মজা অনেক বেশি। তা-ও কোনও রকমে ছবি এঁকে, অন্যান্য কাজ করে সময় কাটাচ্ছি।"
advertisement
মনোবিদ রঞ্জন ঘোষ মানছেন, এ সময়ে বাচ্চাদের ভুলিয়ে রাখাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, "এ সময়ে বাচ্চাদের আরও বেশি করে সময় দিতে হবে। দাদু-দিদাদের সঙ্গে সময় কাটাতে দিতে হবে। শরীরচর্চার উপরেও জোর দিতে হবে। আবার মুখোমুখি বসে গল্প করে সময় কাটাতে হবে।"
বাঘাযতীনের বাসিন্দা সম্রাট মৌলিক বলেন, "আমরা আগে থাকতেই 'লকডাউনের' মতো পরিস্থিতি হতে পারে, এমনটা আন্দাজ করেছিলাম। তাই কিছুটা বাজার করাই ছিল। এই রোগকে আটকাতে এ ছাড়া তো কোনও উপায়ও নেই। আমরা তাই এটাকে সমর্থনই করছি।" সম্রাটের স্ত্রী ব্রততী বলেন, "যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে না বেরনোর চেষ্টা করছি। বাচ্চাকে সময় দেওয়া এবং ওর যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করছি।"
Shalini Datta