এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মিত্র এন্ড ঘোষ পাবলিশার্স এর কর্ণধর ইন্দ্রানী রায় মিত্র বলেন "লকডাউন এর জেরে সবকটি প্রকাশনী সংস্থার ক্ষতি হয়েছে। সামনের মাস থেকে কিভাবে কর্মচারীদের বেতন দেব তা আমরা বুঝতে পারছি না।" অন্যদিকে দেব সাহিত্য কুটির প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার রূপা মজুমদার লকডাউন এর পরবর্তী প্রভাব নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন।তিনি বলেন " লকডাউন এর পরবর্তী সময়ে বইপ্রেমীরা আদৌও বই কিনবে নাকি তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কর্মচারীদের বেতন দিতে পারলেও আগামী দিনে চালিয়ে যেতে পারব নাকি তার নিশ্চয়তা নেই।"
advertisement
প্রত্যেক বছর এই নববর্ষের আগেই কলেজ স্ট্রিট এর বই পাড়ায় নতুন বই প্রকাশের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শুধু তাই নয় নববর্ষের আগের সপ্তাহ থেকেই বইপ্রেমীদের বই কেনার হিড়িক পরে কলেজ স্ট্রিটে। কিন্তু এবারের লকডাউন কার্যত ছন্দপতন ঘটেছে কলেজ স্ট্রিটে। একাধিক নতুন বইয়ের প্রকাশের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেড়ে ফেলা হলেও তা প্রকাশ হতে পারল না। শুধু তাই নয়, বই পাড়া জুড়ে বই কেনা বেচা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কায় দিন কাটছে কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়ার কর্মচারীদের। নববর্ষের প্রাক্কালে কিছু কিছু প্রকাশনী সংস্থা আবার কর্মচারীদের বোনাসও দিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার বোনাস তো দূরের কথা বেতনটাই দেওয়াটা এখন চ্যালেঞ্জের প্রকাশনী সংস্থাগুলির কাছে। তবে সমস্যা প্রকট বই পাড়ার কর্মচারীদের। কিভাবে আগামী দিনগুলো কাটাবেন তার দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না কর্মচারীরা। এখন তাই আগামী দিনে বই পাড়া লকডাউন কাটিয়ে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সেটাই এখন প্রশ্ন।
Somraj Bandopadhyay