সিমলা, কুফরি, নারকান্দা, ডালহৌসি, মানালির মতো জায়গায় ক্রমে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। হোটেলগুলিতে বুকিং পাওয়া যাচ্ছে না পর্যন্ত। ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি স্টেকহোল্ডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মহিন্দর শেঠ বলেন, সপ্তাহান্তে এখন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বুকিং পাচ্ছে হোটেলগুলি। অন্যান্য দিনে তা ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ। হিমাচলে পর্যটকদের করোনা সংক্রান্ত নিয়মকানুন শিথিল হওয়ায় মানুষ এখানে আসছেন, এমনটাই জানিয়েছেন মহিন্দর শেঠ।
advertisement
মূলত, দিল্লি ও সংলগ্ন জায়গা থেকে তো বটেই, দেশের নানা প্রান্ত থেকে হিমাচলের পাহাড়ে পৌঁছচ্ছেন। বাঙালিরাও যোগ দিয়েছেন তাতে। পর্যটনের নামজাদা প্রতিষ্ঠান কুণ্ডু স্পেশালের কর্ণধার সৌমিত্র কুণ্ডু বলেন, "গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সবক’টি প্যাকেজ বাতিল হয়েছিল। কিন্তু চলতি মাসেই আমরা আবার হিমাচল প্রদেশ দিয়ে ফের যাত্রা শুরু করছি। হিমাচল ওই রাজ্যে পযর্টকদের আগে আরটিপিসিআর করানো হচ্ছিল। আমরা তাই ট্যুর বাতিল করেছিলাম। এবার তারা সেই নিয়ম থেকে সরে এসেছে। তাই মানুষ হিমাচলে বেড়াতে যেতে অত্যন্ত আগ্রহী।"
উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশ সরকার কোভিড -১৯ সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করার পরে, বিশাল পর্যটকদের ভিড় জমে এই শৈলশহরে। ফলে ন্যাশনাল হাইওয়েগুলিতে ভয়ঙ্কর ট্র্যাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয়। এদিকে, পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় এবং হোটেলগুলিতেও বুকিং পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় শেষমেশ হোটেলে 'রুম' না পেয়ে নিজেদের গাড়িতেই রাত কাটান বেড়াতে আসা বহু মানুষ।
বর্তমানে কুলু জেলার অটল টানেল পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। গত রবিবার এই টানেল দিয়ে অন্তত ৬,৪০০ গাড়ি গেছে। যা রেকর্ড। আবার চম্বা জেলার ডালহৌসি, খাজ্জারে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডালহৌসি হোটেল ও রেস্তরাঁ সংস্থার প্রধান মনোজ চাড্ডা বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিম্নগামী থাকলে আগামী কয়েকদিনে আরও পর্যটক আসবেন এখানে।’ আর এখানেই রয়েছে ভয়। পর্যটকরা কোভিড বিধি মেনে চলছেন না। মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ববিধি উধাও। আর এতেই আতঙ্কিত নেটিজেনরা। তৃতীয় ঢেউয়ে ফের না হাসপাতালে শয্যার ঘাটতি দেখা দেয়।
এই ছবি ভাইরাল হতেই সমালোচনা শুরু হয় নেটিজেনদের মধ্যে। তৃতীয় ঢেউ এর তোয়াক্কা না করেই এভাবে কোভিড বিধি শিকেয় তুলে বেড়ানোর নিন্দা করেন সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ। তাঁরা বলেন, এখন হোটেলে রুম পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এই ভিড়ের পড়ে হয়তো হাসপাতালগুলিতে আর শয্যা পাওয়া যাবে না আগামী দিনে।
