সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তার ফেসবুক পেজেই আন্দোলনকারী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন " রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উঠলেই রাজ্য সরকার তার প্রক্রিয়া শুরু করবে।" যদিও তার পরবর্তীকালে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে উচ্চ প্রাথমিক এর মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য লকডাউন চলাকালীন হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয় সেই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার জন্য কার্যত আন্দোলনের ভাষা আরো জোরালো করছেন কয়েক হাজার আবেদনকারী প্রার্থী।
advertisement
কয়েক বছর হতে চলল উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শেষ করতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। একাধিক আইনি জটিলতা থাকায় বারবার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের কাছে ধাক্কা খেয়েছে এসএসসি।২০১৪ সালে শেষবার স্কুল সার্ভিস কমিশন টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট নিয়েছিল। সেই টেট-এর ফল প্রকাশ করা হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তারপর শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবেদন করার জন্য আবারও বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারপর থেকে কেটে গেছে প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় সীমা।
গত বছর পুজোর আগে শুধুমাত্র উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকায় প্রকাশ করতে পেরেছে এসএসসি। তবুও সেই মেধাতালিকা নিয়ে একাধিক গরমিল অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। প্রার্থীদের করা সেই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর ইতিমধ্যেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। যার জেরে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যত থমকে রয়েছে।
এরইমধ্যে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের থাবা এবং তার জেরে চলা লকডাউন এর জন্য হাইকোর্টের মামলার শুনানি পর্ব অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদ রয়েছে ১৪ হাজারেরও বেশি। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর হতে চলল সেই পদগুলিতে এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারল না এসএসসি। তাই লকডাউন চললেও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার আর্জি জানিয়ে সোশ্যাল সাইটকে ব্যবহার করেই গত দুমাস ধরে আন্দোলন শুরু করেছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। একাধিক বার সোশ্যাল সাইটে নিজেদের ছবি ব্যবহার করে পোস্ট লেখা সহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক হাজার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী। এবার তাই ফেসবুকে গণ লাইভ করে দ্রুত নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করলেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে হাইকোর্টে ৷ এই মামলার শুনানি যাতে লকডাউন পর্বেই করা যায় সেই বিষয়ে আবেদন জানাবে কমিশন ৷