ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরছেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। লকডাউনে গ্রামে ফেরার ঢল। ভিটে ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা গ্রামে ফিরছেন। কবে তাঁরা ফিরে যাবেন, আদৌ ফিরতে পারবেন কিনা, জানা নেই। এই বিপুল পরিমাণ শ্রমিকের ভবিষ্যত কী? রুজি-রোজগারের উপায় কি হবে?
গ্রামেই শ্রমিকদের কাজ দিতে একশো দিনের কাজে বরাদ্দ বাড়াল মোদি সরকার। বরাদ্দ বাড়ল ৪০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষে এই খাতে বরাদ্দ ১ লক্ষ ১ হাজার কোটি টাকা। মোট ৩০০ কোটি কর্মদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিল মোদি সরকার। সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা সীতারমণ বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন ৷ তাদের কথা ভেবেই ১০০ দিনের কাজে অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রামে ফিরে জীবিকা ধারণে কোনও সমস্যা না হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও জেলায় উন্নয়নের কাজে ওই টাকা ব্যয় করা হবে ৷ এতে কর্মদিবস বেড়ে বছরে ৩০০ দিন হবে ৷ এর ফলে সমাজের অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল মানুষের হাতে টাকা আসবে ৷
advertisement
পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস কারণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা যাতে বেহাল হয়ে না পড়ে সেজন্য সরকারি সমর্থন ও সাহায্য পাবে ৷ করোনা মোকাবিলায় এদিন অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ তিনি জানান, দেশের প্রতিটি জেলা সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য ল্যাব তৈরি করা হবে ৷ ওয়েলফেয়ার স্কিমে ব্যয় করা হবে ৪০ হাজার কোটি টাকা ৷
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যেন বুঝিয়ে দিলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন, এমন আশা কম। তাই গ্রামেই শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই বারেবারে বিরোধীরা কেন্দ্রের সরকারের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবিকা নিয়ে, ভবিষ্যত নিয়ে ভাবার আর্জি জানিয়ে আসছিলেন ৷ কংগ্রেস প্রাক্তন অধ্যক্ষ দাবি জানিয়েছিলেন সরাসরি শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হোক ৷ শেষ দিনে মনরেগা(MNREGA)প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের খবর খানিকটা হলেও শ্রমিকদের স্বস্তি দিল৷ চতুর্থ দিনে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য দেশকে প্রস্তুত হতে হবে।
মোদি সরকারের আশা-ভরসা এখন ইউপিএ আমলের প্রকল্প। ২০২০-র মে -মাসে মোদি সরকারের আর্থিক সেনাপতি MNREGA-কে আঁকড়ে ধরছেন। ২০১৫ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে একেবারেই প্রধানমন্ত্রীর গলায় ছিল উল্টো সুর গ্রাম থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। আর তাতে কেন্দ্রের আশা-ভরসা সেই MNREGA।