ভিডিও বার্তা মারফত রাজ্যপাল আরও বলেন "বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ কেউ সোশ্যাল ডিসটেন্স সম্পর্কে বুঝতে হবে।" রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে রেশন ব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। শনিবার ট্যুইট করে ভিডিও বার্তা মারফত তিনি বলেন " রেশন ব্যবস্থায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের না থাকাই ভালো। রেশন ব্যবস্থা কে প্রশাসনের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত।" মূলত করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এ রাজ্যে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলাটা কতটা জরুরি সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অন্যদিকে শনিবার রাজ্যপালের কাছে রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানায়।
advertisement
দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিসংখ্যানের নিরিখে বর্তমানে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে নাকি তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ রাজ্যেও ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও লকডাউন চলাকালীন বাজারগুলো খোলা থাকবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাজার খোলা থাকলেও সোশ্যাল ডিসটেন্স মানার কথা বারবারই মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় সোশ্যাল ডিসটেন্স নামেনি বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার একাধিক ছবি উঠে এসেছে। এবার সেই সোশ্যাল ডিসটেন্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার ট্যুইট করে ভিডিও বার্তা মারফত তিনি তার উদ্বেগের কথা জানান। তিনি মনে করিয়ে দেন করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিসটেন্স না মানলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে।
অন্যদিকে শনিবারই রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যায়। রাজ্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রাজ্যপালকে জানায় বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয় যত সংখ্যক টেস্টিং কিট পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে বেশির ভাগ ই টেস্ট করা হয়নি। মালদহতে ১০০০ টেস্টিং কিট পাঠানো হলেও কারোর টেস্ট করা হয়নি বলে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় রাজ্য প্রশাসনের তরফে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সংক্রান্ত তথ্য চাপা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে রাজ্যপালের কাছে।
রাজ্য বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানোর পরপরই রাজ্যপাল টুইট করে নিজের ভিডিও বার্তা দেন। ভিডিও বার্তাতে দিল্লির নিজামুদ্দিন এর ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে এনে সোশ্যাল ডিসটেন্স মানার আবেদন রাখেন রাজ্যবাসীকে।
Somraj Bandopadhyay