তাঁর পোস্টে শান্তনু (Dr Santanu Sen) লেখেন, "দেবাঞ্জন দেব, এই মুহূর্তে এই শহরের নয়তো আলোচিত নাম যিনি ভুয়ো আইএএস (Fake IAS Debanjan Deb) পরিচয়ে প্রতারণা করেছে। তার সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে আমাকে দেখা গিয়েছে। সেই ছবি বিভিন্ন বৈদ্যুতিক মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমার এখনও স্মরণ রয়েছে, মূলত কোভিডের প্রথম পর্বের সময়, অনেকগুলি সংস্থা এবং ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হাসপাতাল, চিকিত্সক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণের জন্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে মাস্ক, স্যানিটাইজারস, গ্লাভস, পিপিই কিট ইত্যাদি দেন করেছিলেন। এই লোকটি তাদের মধ্যে অন্যতম হতে পারে বলেই আমার মনে হয়।"
advertisement
তবে এরইসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তাঁর ফেসবুক বার্তায় জানান, "আই এ এস হিসেবে নয়, বরং ব্যক্তিগতভাবে বা অন্যদের সাথে নিজেকে সামাজিক কর্মী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন দেব।" নিজের অবস্থান ও স্বচ্ছতা স্পষ্ট করতে শান্তনু লেখেন, "জন প্রতিনিধি হিসাবে, আমরা প্রায়শই অনেক স্থানে বহু অজানা লোকের মুখোমুখি হয়ে যাই যারা আমাদের সাথে ছবি তোলে, এমনকি কখনও কখনও আমাদেরকে না জানিয়েও।"
এই কসবা কাণ্ডে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কলকাতা পুরসভা, পুলিশ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শান্তনু এবং এর তদন্ত করার এবং এই জাতীয় জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আন্তরিক অনুরোধও জানিয়েছেন সাংসদ। তাঁর কথায়, "আমাদের রাজ্যকে বিকৃত করার গভীর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাও দেখতে পাচ্ছি এই ঘটনার মধ্যে।" বিশেষ করে রাজ্যে যখন টিকাকরণের হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সেই সময় এই ধরণের ঘটনা রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার প্রয়াস বলেও ইঙ্গিত দেন শান্তনু।