মুম্বই পুলিশের দাবি, এই কেন্দ্রের টিকাগ্রহণকারীদের স্যালাইন অথবা নুন জল দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনের নামে। জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ (ল অ্যান্ড অর্ডার) বিশ্বাস নাঙ্গরে পাটিল বলেছেন, 'এই ঘটনায় প্রতারণা করে আদায় করা ১২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। মূল অভিযুক্ত মণীশ ত্রিপাঠী ও মহেন্দ্র সিংয়ের নামের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের দ্বারা চালিত আরও আটটি ক্যাম্পের খোঁজ আমরা পেয়েছি। এই অভিযুক্তরাই সমস্ত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে।'
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ভুয়ো ক্যাম্পে ব্যবহার করা 'কোভিশিল্ড' টিকা গুজরাটের কোনও জায়গা থেকে আনা হয়েছিল। তবে সেই ভায়ালগুলির মধ্যে আসলে কী ছিল, তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। এই নিয়ে ইতিমধ্যেউ কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে বাজেয়াপ্ত সমস্ত ভায়ালের ব্যাচ নম্বর ও শিপমেন্ট নম্বর পাঠাতে বলা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে গত সপ্তাহে মুম্বইয়ের কান্দিভালি এলাকায় ভুয়ো টিকা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করার পরই।
দ্য হিরানন্দানি হেরিটেজ রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়, কয়েকজন বেসরকারি হাসপাতালের তরফে তাঁদের আবাসনে টিকাকরণ চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। সেখানেও টিকা প্রদানের পর কোনও সার্টিফিকেট মোবাইলে না আসায় সন্দেহ হয়। ভ্যাকসিনের নামে সেখানে কী দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন টিকা গ্রহণকারীরা। একই অভিযোগ করেছেন ফিল্ম প্রযোজক রমেশ তৌরানি। তিনিও ৩০ মে ও ৩ জুন ৩৬৫ জন ফিল্মের সঙ্গে জড়িত কর্মীদের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেখানেও এই ব্যক্তিরাই ভুয়ো টিকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
