TRENDING:

বদলে যাবে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভিজ্ঞতা, মানব স্পর্শ এড়িয়ে কীভাবে রসনাতৃপ্তি?

Last Updated:

Zomato-র মতে এরকম ব্যবস্থা চালু হলে রেস্তোরাঁগুলির খরচও বাঁচবে৷ কারণ এই ব্যবস্থায় অনেক কম কর্মী দিয়েই কাজ চালানো যাবে৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মুম্বই: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় দেশজুড়ে বন্ধ সমস্ত রেস্তোরাঁ৷ তবে অনলাইন অর্ডার চালু রয়েছে৷ ফলে বাড়িতে বসেই রেস্তোরাঁ থেকে খাবার এনে খাচ্ছেন গ্রাহক৷ সবকিছু ঠিকঠাক চললে আর পাঁচটা পরিষেবার মতো রেস্তোরাঁও হয়তো আগের মতোই খুলবে, সেখানে ভিড় করবেন ক্রেতারাও৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন পরবর্তী সময়ে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকটাই বদলে যেতে পারে খাদ্য রসিকদের৷
advertisement

এখন যেমন সংক্রমণের আশঙ্কা দূর করতে অনেক রেস্তোরাঁ এবং অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলি কনট্যাক্টলেস বা স্পর্শবিহীন খাবার সরবরাহে জোর দিচ্ছে, ভবিষ্যতে রেস্তোরাঁতে গিয়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতাও অনেকটা সেরকম হতে পারে৷ অর্থাৎ অতিথি আপ্যায়ণের ক্ষেত্রে রেস্তোরাঁর ওয়েটার বা অন্যান্য কর্মীদের ভূমিকা যথাসম্ভব কমিয়ে আনা হবে৷ সেক্ষেত্রে রেস্তোরাঁর কর্মীদের চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় তৈরি হচ্ছে৷

advertisement

Dineout এবং Zomato, এই দুই সংস্থার তরফেই ভবিষ্যতে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তার একটি সম্ভাব্য রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, এখন যেভাবে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ-এ খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়, অদূর ভবিষ্যতে ঠিক সেভাবেই রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার আগে অ্যাপের সাহায্যে টেবিল প্রি বুক করে নিতে পারবেন গ্রাহকরা৷ এতে ওয়েটিং টাইম যেমন কমবে, সেরকমই রেস্তোরাঁয় গিয়ে পছন্দের টেবিলে বসার জন্য কোনও রেস্তোরাঁ কর্মীর সাহায্য নিতে হবে না৷ রেস্তোরাঁর নিজস্ব অ্যাপ বা ডিজিটাল মেনু কার্ড থেকেই পছন্দের খাবার অর্ডার করতে পারেন গ্রাহক৷ খাওয়ার পরে অনলাইনেই দাম মিটিয়ে দেওয়ার সুযোগও রয়েছে৷ এমন কী, রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও স্বয়ংক্রিয় টোকেন ব্যবহার করে মানুষের ভূমিকা কমিয়ে আনা সম্ভব৷

advertisement

Zomato-র তরফেও অনেকটা একই ধরনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে সংস্থার অ্যাপেই QR CODE থাকবে৷ রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে টেবিলে রাখা রেস্তোরাঁর QR CODE স্ক্যান করলেই ডিজিটাল মেনু কার্ড পেয়ে যাবেন গ্রাহক৷ কোন পদের সঙ্গে কোন পদ বেশি উপাদেয় হবে অথবা কোন পানীয় নিলে ভাল হয়, সমস্ত পরামর্শই সেখানে পেয়ে যাবেন গ্রাহক৷ খাওয়া হয়ে গেলে ডিজিটাল মাধ্যমেই দাম মিটিয়ে দেওয়ার সুযোগ তো থাকবেই৷

advertisement

Zomato-র মতে এরকম ব্যবস্থা চালু হলে রেস্তোরাঁগুলির খরচও বাঁচবে৷ কারণ এই ব্যবস্থায় অনেক কম কর্মী দিয়েই কাজ চালানো যাবে৷ টেবিলও অনেক দ্রুত খালি হয়ে যাবে৷ তবে এক্ষেত্রে রেস্তোরাঁয় কর্মরতদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অবশ্যই সংশয় তৈরি হয়েছে৷ রেস্তোরাঁগুলি যদি অন্য কোনওভাবে কর্মীদের কাজে না লাগায়, সেক্ষেত্রে অনেকেই চাকরি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

এর পাশাপাশি গ্রাহকদের সুরক্ষায় রেস্তোরাঁগুলিতে স্যানিটাইজার, গ্লাভস, থার্মোমিটার, ফেস মাস্ক, হেড গিয়ারের মতো সরঞ্জাম রাখার কথাও বলা হয়েছে যাতে সংক্রমণের ন্যূনতম সম্ভাবনাও দূর করা যায়৷

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
বদলে যাবে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভিজ্ঞতা, মানব স্পর্শ এড়িয়ে কীভাবে রসনাতৃপ্তি?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল