পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র আবদুল্লা হাফিজ অবশ্য বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। তাঁর দাবি, করোনা অতিমারির প্রকোপের কারণেই ইউরোপে বিমান চালাচ্ছে না পাকিস্তান। তাঁর বক্তব্য, "আগামী দু'মাসের মধ্যেই অসলো, কোপেনহেগেন, প্যারিস, বার্সিলোনা, মিলানে বিমান পরিষেবা ফের চালুর ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তান।"
তবে পাইলট দুর্নীতির জন্য তাঁদের যে বড় মাসুল দিতে হচ্ছে, তা-ও মানছেন হাফিজ।
advertisement
গত ২২ মে করাচির এক বিমান দুর্ঘটনায় ৯৭ জনের মৃত্যু হয়। তার পরেই সামনে আসে যে, ৮৬ জনের মধ্যে ২৬০ জন পাইলটই বেনিয়ম করে পরীক্ষায় পাশ করে পাইলট হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পাক সরকার। ১৫০ পাইলটকে ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "পাকিস্তানের পাইলটদের লাইসেন্স পাওয়ার ব্যাপারে আমরা সন্দিহান। তাঁদের আন্তর্জাতিক মান সম্পর্কেই সন্দেহ রয়েছে।"
হাফিজ অবশ্য মানছেন, "এই ঘটনার পরে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক বিমানের বাজারে আগের সম্মান ফিরে পেতে এখন অনেক দিন সময় লাগবে।"
শালিনী দত্ত