স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, '২৩ এপ্রিল প্রথম আমি গা ব্যাথা, জ্বর জ্বর ভাব অনুভব করি। এরপর আমার করোনা পরীক্ষা করা হয়। ২৬ এপ্রিল আমি জানতে পারি আমার দেহে থাবা বসিয়েছে ডেল্টা প্লাস (Delta Plus Variant) । ৩০ মার্চ আমি কোভিশিল্ডের (Corona vaccine Covishield) প্রথম টিকা নিয়েছিলাম।' তিনি জানান, প্রায় একমাস আগে তিনি করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
advertisement
ওই ব্যক্তি জানান, ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই তিনি ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এমনকী হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়নি তাঁকে। তিনি আরও জানান, চিকিৎসকরা তাঁকে যা যা পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি তা পালন করেছেন। এদিকে দেওঘর জেলার CDMO এম কে উপাধ্যায় জানান, ১০ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ওই প্রবীণের গ্রামে ৮১ জনের শরীরে করোনা থাবা বসিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেবলমাত্র এই প্রবীণের শরীরেই পাওয়া গিয়েছে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সংক্রমণ।
করোনাভাইরাসের (Covid 19) ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্ট (Delta Plus Variant) নিয়ে ক্রমেই ভয় বাড়ছে। দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে করোনার নতুন এই স্টেইন। ইতিমধ্যেই ভারতের ১২টি রাজ্যে মিলেছে করোনার Delta Plus Variant। আক্রান্ত ৫১ জন।এই নয়া প্রজাতির করোনা ডেল্টা প্লাসের সঙ্গে ফুসফুসের কোষের অনেক বেশি সাযুজ্য রয়েছে। NTAGI বিশেষজ্ঞ ডঃ এন কে অরোরার মতে, লাঙ্কসের কোষে ডেল্টার প্রভাব বেশি হলেও এর মানে এটা নয় যে, এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট আগের থেকে বেশি সংক্রামক বা বেশি ক্ষতিকর।
