সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, দিল্লি নিবাসী যারা ৪টা এপ্রিল কুম্ভে গিয়েছেন এবং ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ফিরে আসবেন, তাঁদের পরিচয় সহ যাত্রার বিস্তারিত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে৷ এটা বাধ্যতামূলক৷ সরকারি ওয়েবসাইটটি হল www.delhi.gov.in ৷
জানানো হয়েছে যে, যদি কেউ ২০২১-র কুম্ভে যাওয়ার তথ্য গোপন করে, তাহলে তাঁদের খোঁজ নিয়ে ১৪দিনের জন্য সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেবেন জেলা শাসক৷ এমনই লেখা রয়েছে নির্দেশিকায়৷
advertisement
রাজধানী দিল্লিতে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে (Corona in Delhi) এই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ যাতে হরিদ্বারের কুম্ভ থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তাই এই নির্দেশ৷ কুম্ভমেলায় (coronavirus in Kumbh) উপস্থিত পুণ্যার্থীদের মধ্যে প্রায় ২হাজার জন করোনা সংক্রমিত বলে জানা গিয়েছে৷ এই সব করোনা আক্রান্তরা নিজেদের রাজ্যে ফেরার পর সেই সব রাজ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে৷ আরও বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা (Kumbh Super spreader COVID19)৷ সেই আশঙ্কা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দিল্লি সরকার৷ শনিবারের তথ্য অনুযায়ী দিল্লিতে ১ দিনে মোট ২৪০০০জন করোনা আক্রান্ত৷ যা খুবই ভয়াবহ৷
আরও পড়ুন COVID19 India:ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতি, কোন রাজ্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? এক নজরে দেখে নিন
দেশে জুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ তার মধ্যে কুম্ভমেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম আরও ভয় বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ কারণ এর থেকে দেশে আরও মারাত্মক চেহারা নিতে পারে করোনা৷ যতই মাস্ক পরা, নির্দিষ্ট দূরত্ব মানার কথা বলা হোক না কেন, সেসব কিছুই দেখা যায়নি কুম্ভ মেলায়৷ ফলে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবেদন করেন কুম্ভ বন্ধ করার৷ এরপরই উদ্বেগজনক করোনা (Coronavirus in India)পরিস্থিতির কারণেই শনিবার মেলা অবিলম্বে বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেন শ্রী পঞ্চ দশনম জুনা আখড়ার প্রধান স্বামী অভদেশানন্দ গিরি৷ তবে এখনও কয়েকটি আখড়া পরবর্তী শাহি স্নানগুলির পক্ষে রয়েছে৷ তার মধ্যে রয়েছে নির্মোহি, নির্ভানি এবং দিগম্বরের মতো কয়েকটি আখড়া৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনকে স্বাগত জানিয়েও বৈরাগী আখড়া জানিয়েছে, আগামী ২৭ এপ্রিল শাহি স্নান বন্ধ করবে না তারা৷ তবে ভক্তদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করেছে তারা৷