এর মধ্যে সাত বার তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি শেষকৃত্যে কী করতে হবে তার পরিকল্পনাও বলে দিয়েছিলেন, কিন্তু এই মারণ ভাইরাস সেভাবে তাঁকে কাবু করতে পারেনি। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে ডেভ জানিয়েছেন, 'আমি নিজেই ভেবেছি এই বুঝি শেষ, আমি পরিবারকে ডেকেছি। শেষ সময়ে একসঙ্গে থাকব বলে। গুডবাই জানাব বলে।'
advertisement
ডেভের স্ত্রী লিন্ডা প্রায় দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে বাড়িতেই কোয়ারান্টিন করে রেখেছেন। তাঁর কথায়, 'এমন অনেক বার হয়েছে যখন আমরা ভেবেছি, এবারে হয়তো ও আর পারবে না। এই বছরটা একটা দুর্বিষহ বছর হয়ে রয়েছে।' নর্থ ব্রিস্টল এনএইচএস ট্রাস্ট ও ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টলের সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ এড মোরান জানিয়েছেন, টানা দশ মাস ধরেই ডেভের শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে এবং সেগুলি জীবিত।
শেষ পর্যন্ত ইউএস বায়োটেকের রেজিনিরন ফার্মের অ্যান্টিবডি ককটেলের মাধ্যমে ডেভ স্মিথ করোনামুক্ত হয়েছেন। যদিও এই চিকিৎসা ব্রিটেনে সরকারি ভাবে অনুমোদিত নয়। মানবিক দিক থেকেই ডেভের এই চিকিৎসা করানো হয়েছিল। অ্যান্টিবডি ককটেলের মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার পর ডেভের বক্তব্য, 'যেন নতুন করে জীবন ফিরে পেলাম।' প্রথম সংক্রমণের ৩০৫ দিন এবং অ্যান্টিবডি ককটেল নেওয়ার ৪৫ দিন পর করোনামুক্ত হয়েছেন ডেভ স্মিথ। তাঁকে সুস্থ করে তোলার এই চিকিৎসা নিয়ে আপাতত ব্রিস্টলের গবেষকরা গবেষণা চালাচ্ছেন। শরীরের কোথায় করোনাভাইরাল লুকিয়ে থাকছে এবং এতদিন ধরে কীভাবে সেটি সংক্রমণ বজায় রেখেছে তা নিয়েই কাজ করছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ডেভ স্মিথের ফুসফুসের সমস্যা ছিল। গত ২০২০-র মার্চেই লিউকোমিয়া থেকে সেরে উঠেছিলেন তিনি।
