বুধবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে তিরস্কারও করে বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়, 'ন্যূনতম পরিত্রাণের ব্যবস্থা করা আপনাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এত দিন কেটে গেলেও, এ নিয়ে কোনও নির্দেশিকাই প্রকাশ করেননি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ, যার মধ্যে ক্ষতিপূরণও পড়ে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালনে করতে ব্যর্থ।'
advertisement
কিছুদিন আগেই করোনায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে প্রশ্ন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনায় মৃতদের পরিবারপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, প্রত্যেক পরিবারকে সাহায্য করার সামর্থ্য সরকারের নেই। কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, শুধুমাত্র কোভিডের ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য দিয়ে অন্য রোগের ক্ষেত্রে না দেওয়া হলে তা অন্যায় হবে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা সুপ্রিম কোর্টে ১৮৩ পাতার হলফনামা জমা দেন। তাতে কেন্দ্রের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়াবে। আর গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের উপর মারাত্মক আর্থিক চাপ রয়েছে। এই আর্থিক চাপের মধ্যে দেশের সকল কোভিড মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া সম্ভব নয়।
বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্র আরও যুক্তি দিয়েছে, আইন অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ কেবল ভূমিকম্প, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রের মৃত্যুতে প্রযোজ্য। কিন্তু অতিমারির কারণে মৃত্যুমিছিল হলে তাতে এই আইন বলবৎ হয় না। উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
