কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (Council of Scientific and Industrial Research) অধীনস্থ সংস্থা IGIB বর্তমানে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্টের ওপর কাজ করছে। ড. অনুরাগের মতে, ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা পর্যাপ্ত পরিমাণে বাড়াতে সক্ষম। এমনকি ভ্যাকসিনের একটি ডোজও এই কাজে বেশ কার্যকরী। সে কারণে অধিকাংশ ভারতীয়দের (প্রায় ৬০%) ক্ষেত্রে এখনই বুস্টার শটের প্রয়োজন নেই।
advertisement
তবে ড. অনুরাগ এটাও জানিয়েছেন, স্পর্শকাতর বা অত্যধিক স্পর্শকাতর ব্যক্তিদের জন্য পরবর্তীতে বুস্টার শটসের প্রয়োজন হতে পারে। যেহেতু প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে ভাইরাসের রূপ নির্ণয় করা সম্ভব নয় তাই সব চেয়ে কার্যকরী সম্ভাবনা হতে পারে, যদি একটি নির্দিষ্ট বর্গের স্পর্শকাতর ব্যক্তিদের ওপর বুস্টার শট প্রয়োগ করা যায়। স্পর্শকাতর ব্যক্তি অর্থাৎ যাঁরা প্রতিনিয়ত কোভিড রোগীদের সংস্পর্শে আসেন বা বৃদ্ধ ও কো-মর্বিডিটি যাঁদের আছে, সেই রকম মানুষদের বুস্টার শট দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
IGIB–র তত্ত্বাবধানে বুস্টার শট নিয়ে কাজ শুরু হলেও এখনও তা কার্যকর হতে সময় লাগবে। ড. অনুরাগের কথায়, এখনও বুস্টার শট তৈরির কাজ পর্যবেক্ষণের স্তরে রয়েছে। গবেষকরা এখনও বুঝতে চেষ্টা করছেন যে, অধিক সংখ্যক মানুষের প্রাকৃতিক ভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায় কি না বা ভ্যাকসিনের দ্বারা অনাক্রম্যতা হ্রাস পায় কি না, এই বিষয়ে কাজ চলছে। এছাড়াও দু’ধরণের ভ্যাকসিন প্রয়োগে দীর্ঘস্থায়ী অনাক্রম্যতা পাওয়া সম্ভব কি না এই বিষয়টিও গবেষকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
আরও পড়ুন- কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যা জেনে রাখা দরকার
তবে ড. অনুরাগ আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন, এই উৎসবের মরসুমে মহামারীর তৃতীয় ঢেউও কিন্তু উঁকি দিচ্ছে। কিছু মৌলিক সতর্কতা, ভিড় এড়িয়ে চলার প্রবণতা আমাদের সুরক্ষিত রাখবে। যদিও কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্ট আসার সম্ভাবনা এখন কম, তবে কয়েক মাসের মধ্যেই চিত্রটা বদলে যেতেও পারে।
এখন পর্যন্ত তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা কম বলেই মনে হচ্ছে, কিন্তু আমাদের সক্রিয় নজরদারি এবং সতর্কতা বজায় রাখা উচিত, কারণ আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি খোলার পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছি, জানিয়েছেন তিনি।
