করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতির হানায় আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে ফুসফুসের। এমনটাই জানালেন করোন ভাইরাসের ওয়ার্কিং গ্রুপ এনটিএজিআইয়ের প্রধান ডাঃ এন কে অরোরা। তিনি বলেছেন যে, অন্যান্য স্ট্রেনের তুলনায় কোভিড -১৯ এর ডেল্টা প্লাস ফুসফুসের কোষে বাসা বাঁধার প্রবণতা বেশি রয়েছে। এটি মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করবে বা আরও সংক্রামিত হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
advertisement
১১ জুন প্রথম এই Delta Plus ভেরিয়েন্টের খোঁজ মেলে। ইতিমধ্য়েই ১২টি রাজ্যে ৫১টি ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। এই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে ৮০ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন। এরমধ্যে বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা! জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ২১ জনের শরীর থেকে পাওয়া গিয়েছে ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভেরিয়েন্ট।
ডাঃ এন কে অরোরা বলেছেন, 'অন্যান্য স্ট্রেনের তুলনায় ডেল্টা প্লাস ফুসফুসের মধ্যে বেশি উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, তবে এটি যে আরও ক্ষতিকর, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিরাটাকারে সংক্রামক কিনা তাও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।' তিনি আরও বলেছেন যে আরও কিছু কেশ শনাক্ত করার পরে ডেল্টা প্লাসের প্রভাব সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে। তবে দেখা যাচ্ছে যে যারা ভ্যাকসিনের এক বা দুটি ডোজ নিয়েছে, তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের সামান্য লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের খুব কাছ থেকে লক্ষ্য রাখার প্রয়োজন, যে কতটা দ্রুত সংক্রমণ ঘটছে'।
অরোরা আরও বলেছেন যে, এখনও পর্যন্ত যত আক্রান্তের সংখ্যা জানা গিয়েছে, তার থেকে অনাকে বেশি হতে পারে। কারণ এমন অনেকেই আছে যাদের মধ্যে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ নেই এবং তারা সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন।
ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ :
ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খিদে চলে যাওয়া, জয়েন্ট পেন এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি জ্বর, ক্লান্তি, গলায় ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি, চামড়ায় সমস্যা, ডায়েরিয়া, মাথায় যন্ত্রণা, স্বাদ চলে যাওয়া, গন্ধ চলে যাওযার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।