বিবৃতিতে উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন "দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এগিয়ে আসার প্রাথমিক উপায় হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে কিছু না কিছু আর্থিক অনুদান দেওয়া উচিত।" তবে কে কত আর্থিক অনুদান দেবেন তা বিশ্ববিদ্যালয় কে ইমেইল করে জানাতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে ই-মেইল মারফত জানালে কর্তৃপক্ষ এপ্রিল মাসের বেতন থেকে সেই টাকা কেটে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দেবে। উপাচার্যের এই আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও আধিকারিকরা।
advertisement
দেশজুড়ে ক্রমশই বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ রাজ্যেও করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতাতেই একজন মারা গেছেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা থেকে শুরু করে আমজনতার থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আপৎকালীন ত্রাণ তহবিল গঠন করেছেন। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের স্কুলগুলির শিক্ষক শিক্ষিকা ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা দের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেওয়ার আর্জি জানান। শুক্রবারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অধ্যাপক অধ্যাপিকা আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল অনুদান দেওয়ার আর্জি রাখেন। রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন অধ্যাপক সংগঠনগুলি তরফেও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এবার যাদবপুরের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় তরফেও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আর্জি রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী জানান আমরা সবার কাছেই আবেদন রেখেছি। ১৪ ই এপ্রিল এর মধ্যে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অনুদান সংগ্রহ হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠানো হবে।" বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক,অধ্যাপিকা ও আধিকারিকরা।
Somraj Bandhopadhyay