রায়চুর, বেলাগাভি ও বিদার জেলা থেকে একই রকম ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি স্বাক্ষাৎকারে এই খবর প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট বিদ্যা পাতিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রায়চুরে কিছু স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিতে আসা মহিলাদের ঋতুচক্র সমাপ্ত হওয়ার ৫ দিনের পরে টিকা কেন্দ্রগুলিতে ফিরে আসতে বলেন। এমনকি ওই মহিলাদের এও বলা হয়, এই সময়ে টিকা নিলে নাকি মহিলাদের 'ভারী রক্তক্ষরণ' হবে এবং শারীরিক অবসন্নতাও বেড়ে যেতে পারে।
advertisement
লক্ষণীয় বিষয়, রায়চুরের জেলা প্রশাসক আর ভেঙ্কটেশ কুমার অবশ্য জানিয়েছেন সরকারি সংস্থা থেকে এ জাতীয় কোনও নির্দেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন যে এলাকার মহিলারা যথেচ্ছভাবেই টিকা গ্রহণ করছেন রায়চুরে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ঋতুস্রাব চলাকালীন টিকা নেওয়া যাবে কি না এই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। বেশ কিছু এই সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি তথাকথিত বিশেষজ্ঞদের মুখেও কথা বসিয়ে বলা হয়, ঋতুচক্র অনুযায়ী, ঋতুস্রাবের পাঁচ দিন আগে এবং পাঁচ দিন পরে টিকা নেওয়া উচিত নয়। এরপরেই এই নিয়ে বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র। ওই তথ্যকে ‘ভুয়ো’ আখ্যা দিয়ে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-র তরফে লিখিত বিবৃতি জারি করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঋতুচক্রের পাঁচ দিন আগে ও পরে মহিলাদের টিকা নেওয়া উচিত নয় বলে নেটমাধ্যমে যে তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা একেবারেই ভুয়ো। গুজবে কান দেবেন না। ১ মে-র পর ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের টিকা নেওয়া উচিত। ২৮ এপ্রিল থেকে নামের নথিভুক্তিকরণ শুরু হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, চিকিৎসক এবং সমাজকর্মীদের মুখেও একই কথা শোনা গিয়েছে এই প্রসঙ্গে। ঋতুস্রাবের সঙ্গে করোনা টিকার কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আমেরিকার ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ইয়েল স্কুল অব মেডিসিন-এ কর্মরত অ্যালিস লু-কালিগান এবং র্যান্ডি এপস্টিন লেখেন, ‘এখনও পর্যন্ত এমন কোনও তথ্য হাতে আসেনি, যা প্রমাণ করে করোনা প্রতিষেধকের সঙ্গে ঝতুস্রাবের কোনও সংযোগ রয়েছে। আর থাকলেও এক বার অনিয়মিত ঋতুস্রাবে বিপদের কিছু নেই’।
