হু জানিয়েছে, গত ১০ সপ্তাহ ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ কমছিল। কিন্তু শেষ সপ্তাহ থেকে ফের বিশ্বে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। হু প্রধান টেড্রস বলেছেন, 'করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ১১১টি দেশে থাবা বসিয়ে ফেলেছে। ক্রমশ এটিই বিশ্বজুড়ে শাসন চালাবে। প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাস নিজের রূপ বদলাচ্ছে এবং আরও শক্তিশালী হতে চাইছে।' এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই বিশ্বে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মূল চালিকাশক্তি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে হু।
advertisement
হু উল্লেখ করেছে, বিশ্বের ধনী দেশগুলির প্রায় অর্ধেক নাগরিকের করোনার টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। অথচ বহু এমন দেশ রয়েছে, যেখানে টিকা পাওয়ার জন্য অসংখ্য মানুষ এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন। করোনার টিকার প্রথম ডোজই পাননি বহু মানুষ। হুয়ের নির্ধারিত ছটি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটিতেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা নজরে এসেছে। টেড্রস বলেছেন, 'কিছু কিছু দেশে টিকার অভাব আর টিকা হয়ে যাওয়া দেশগুলিতে করোনা বিধি মানার গাফিলতিই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে আমাদের।'
হু প্রধানের পরামর্শ আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে পৃথিবীর সব দেশকে তাদের অন্তত ১০ শতাংশ নাগরিককে করোনার টিকা সম্পূর্ণ দিতে হবে। এবং বছর শেষের মধ্যে সেই পরিসংখ্যান নিয়ে যেতে হবে ৪০ শতাংশে। তবে তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে পারবে বিশ্ব।