বহু জায়গায় লকডাউনের বিধিনিষেধ থাকার ফলে সেই পশু-পাখিদের উদ্ধার করতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। পশুদের অধিকার নিয়ে কর্মরতরা বিভিন্ন খোলা রাস্তা ও শেল্টার হোম থেকে উদ্ধার করছেন এভাবে ছেড়ে যাওয়া বাড়ির পোষ্য পাখি, কুকুর, বিড়ালকে। দিল্লির এক পশু অধিকার কর্মী অভিনব শিরহানের কথায়, 'আমরা এ ধরনের একাধিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছি এই লকডাউনের সময়। বাড়ির নিশ্চিন্ত ঠিকানা থেকে পোষ্য পাখি-কুকুর-বিড়ালদের রাস্তায়, শেল্টার হোমে রেখে পালিয়ে যাচ্ছেন মালিকেরা।'
advertisement
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'এই পশুপাখিরা আরও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কারণ, পুলিশ এমন পশুপ্রেমীদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজ করারও কোনও অনুমতি দিচ্ছেন না। আমি নিজেই দিল্লি পুলিশের চালান পেয়েছি একটি কুকুরকে উদ্ধার করতে গিয়ে। সেই কুকুরটির এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে, তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হত। আমার কাছে সবরকম কাগজপত্র থাকার পরেও আমাকে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।'
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লকডাউনে আর্থিক সংকট, করোনার জেরে বহু মানুষের মৃত্যু। পোষ্যরাও তাদের মালিককে হারিয়ে সংকটের মুখে পড়ছে। খুবই গভীর সমস্যার সৃষ্টি করছে এই ঘটনাগুলি। অনেক সময়ই বাড়ির একজন কোনও মানুষের কাছের পোষ্য তাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলছে। বাড়ির অন্যরা সেই পোষ্যকে একই ভালোবাসা-আদর দিতে পারছে না। ফলে তারাও মারা যাচ্ছে অনেক সময়। সমাজের এই সমস্যাকে নজর দিচ্ছে সরকারও, যা বড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। অনেক সময় খাবারের অভাবেও বাড়ির পোষ্যদের বাইরে বের করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।