শেষ কয়েকদিন ধরে দেশের ১৮টি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও সেই এই আট রাজ্যের তালিকায় নেই পশ্চিমবঙ্গ।
চিন্তায় রেখেছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, মণিপুরের দু'টি, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরামের মতো রাজ্যগুলি। চিন্তা বাড়াচ্ছে, গোয়া, দিল্লি, ঝাড়খন্ডও।
এক জন করোনা আক্রান্তের শরীর থেকে অন্য যত জনের শরীরে করোনা ছড়ায়, তাকে বলা হয় 'রিপ্রোডাকশন নম্বর' বা আরটি। এটিকেই 'আর ফ্যাক্টর' (R-Factor) বলা হয়। এই বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, 'আরটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে। ভারতের ক্ষেত্রে সেটি ১.২। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে সংক্রমণের পরিস্থিতি এখনও একই রকম রয়েছে।'
advertisement
মূলত করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই এই আর-ফ্যাক্টর বৃদ্ধির পিছনে দায়ী। এই পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পাল বলেছেন, 'সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে তখনই বলা যাবে, যখন দেখা যাবে এই আর ফ্যাক্টর ০.৬-এ এসে পৌঁছেছে। কিন্তু পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তা এখনও ১-এর উপরে রয়েছে, যা চিন্তার।' সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরালা, তামিলনাড়ু ও উত্তর পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যে।
দেশে এখনও ৪৪টি জেলায় সংক্রমণের হার রয়েছে ১০ শতাংশের উপরে। এই জেলাগুলিতে করোনার ডেল্টা রূপের সংক্রমণ বেশি নজরে পড়ছে। সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব অগরওয়াল। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এখনই স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ঢিলেমি দেওয়ার সময় আসেনি। অতিমারির দাপট শেষ হতে এখনও দেরি আছে। নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে লব বলেছেন, 'সারা পৃথিবীতেই ফের করোনার সংক্রমণ রোজই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ঘটনা স্পষ্ট করে যে পৃথিবীতে অতিমারির দাপট এখনই কমছে না। ভারতের দিক থেকে দেখলে, এখনও দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়নি।' মঙ্গলবার দেশজুড়ে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০,৫৪৯ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪২২ জনের।