জানা গিয়েছে অসুস্থ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির নাম শঙ্কর গুচ্ছাইত। বেলেঘাটার বাসিন্দা ৫২ বছর বয়সি শঙ্করকে লেকটাউনের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। নার্সিং হোম সূত্রে জানানো হয় সোমবার সাড়ে এগারোটায় মারা যান তিনি। এরপরে মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকজন এলে সকালে তাঁদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
এরপরেই শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। পরিবার দেখে মৃত ব্যক্তি তাঁদের বাবা নন, অন্য কেউ। তাঁরা মৃতদেহ ফেরত নিয়ে শঙ্করবাবুর দেহের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু দিন-ভর খোঁজের পরও পাওয়া যায়নি মৃত শঙ্করবাবুর দেহ। যদিও নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ সূত্রে দীপঙ্কর শতপথী জানান, তিনি হাসপাতলের তরফ থেকে বলছেন দেহটি শঙ্কর গুচ্ছাইতেরই। তাঁদের মতে অকারণ গন্ডগোল সৃষ্টি করছেন বাড়ির লোক। সবমিলিয়ে এদিন ব্যাপক গণ্ডোগোল বেঁধে যায় লেকটাউনের এই হাসপাতাল চত্বরে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হলেও কমছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বেশ কিছু দিন ধরে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী। যা খানিকটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে গবেষকদের। দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ১.৫ লক্ষের নিচে। তবে এরই মধ্যে চিকিৎসা ও করোনা রোগীর মৃতদেহ নিয়ে অব্যবস্থার চরম অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন রাজ্যে। বাদ নেই বাংলাও।