শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিভিন্ন রাজ্যকে ভ্যাকসিন পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্র কী পদ্ধতি অবলম্বন করছে বা কী নীতি গ্রহণ করেছে তাও জানতে চায় আদালত। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত দেশের মোট কত মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, কী কী ভ্যাকসিন নিয়েছেন , কত সংখ্যক মানুষ কোন কোন ডোজ নিয়েছেন তাও কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
advertisement
কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে আগামী ৫ অগাস্টের মধ্যে অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস সহ একাধিক ভ্যাকসিন জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এদিন হলফনামা পেশ করে রাজ্য। তাতে জানানো হয়েছে, রাজ্যে ২ কোটি ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ২৩১ জন ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ১২৪ জনের দু'টি ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে ২৪ রকমের তথ্য হলফনামা দিয়ে হাইকোর্টে জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
পাশাপাশি রাজ্যে এই মুহূর্তে টিকাকরণ কর্মসূচি কী অবস্থায় রয়েছে তা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোন ব্যক্তি কী ভ্যাকসিন পাচ্ছেন তার হিসাব রাখাটাও অত্যন্ত জরুরি। কারণ টিকা নেওয়ার পরেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন।ফলে টিকাগুলির কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পর্যালোচনার জন্য টিকা গ্রহণকারীদের সমস্ত তথ্য নথিবদ্ধ হওয়া দরকার। এই সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে আদালতে জানাতেও নির্দেশ। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার টিকাকরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অ্যাম্বুল্যান্সের চড়া দর হাঁকা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সামিম আহমেদ। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যে কত সংখ্যক বেড তৈরি রাখা হয়েছে, সেখানে কী বন্দোবস্ত রয়েছে, তাও রাজ্যকে জানাতে মৌখিকভাবে জানিয়েছে আদালত।