এমনকী, সরকারি বাস চলার ব্যপারেও কোনও সিদ্ধান্ত হল না। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল বাসে মাত্র ২০ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। বাস সংগঠনগুলির দাবি ছিল, মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। একটি বাস চালাতে যে টাকা খরচ পড়ে তাতে ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে গেলে ক্ষতির বহর বেড়ে যাবে। দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকেই ক্রমশ কমছিল গণ পরিবহণের সংখ্যা। রাস্তায় যাত্রী অমিল থাকায় ধীরে ধীরে বাস চলাচলের সংখ্যা কমেছে। জনতা কারফিউ দিন থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়। লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে রাস্তায় আর বাস নামেনি। দীর্ঘদিন ধরে বাস চলাচল না করায় ক্ষতি হয়েছে ব্যবসার। এই অবস্থায় ফাঁকা বাস চালানো ব্যবসার পক্ষে লাভজনক নয় বলে মত বিভিন্ন বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের।
advertisement
রাজ্যের যে সমস্ত জেলা গ্রিন জোন বলে ঘোষণা হয়েছে সেখানে বড় বাস চলাচল করে। মিনি বা মিডি বাস চলাচল করেনা। যে বাস চলাচল করে তাতে নুন্যতম আসন সংখ্যা ৫০-র কাছাকাছি। সেখানে মাত্র ২০ আসনে যাত্রী মানে ফাঁকা পড়ে থাকবে ৩০ আসন। এছাড়া ৫০ আসনের বাসে যাত্রী হয় কমপক্ষে ৭০ এর কাছাকাছি। ফলে যে ভাড়ায় বাস চালানো হয় তাতে কিছুটা হলেও বাস চালানোয় মুশকিল হয় না বলে মত সংগঠনের। এখন বাসের নুন্যতম ভাড়া ৭ টাকা। প্রথম ৪ কিলোমিটার এই ভাড়ায় যাওয়া যায়। তার পরে স্টেজ পিছু ভাড়া বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় বাস চালানো নিয়ে ফাঁপড়ে বাস মালিকরা।
বাস-মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "এই ভাড়ায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো মুশকিল। আমরা আগেই তা সরকারকে জানিয়েছি। কোনও আয় তো হবেই না। উল্টে ক্ষতি হবে বাস মালিকদের। এই টাকায় পরিষেবা দেওয়া খুবই মুশকিল।" একই সুর জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায়ের। তিনিও জানিয়েছেন, "বাস মালিকদের গৌরি সেন নেই। এই ভাবে বাস চালানো অবাস্তব আমাদের পক্ষে। সরকার অন্য রকম ভাবনা চিন্তা করুক। আমাদের সাথে পরিবহণ দফতরের আলোচনা হয়েছিল। আমরা আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা এখনও মেলেনি।"
বাস মালিকদের এখনও পর্যন্ত দাবি, ভোটের সময় সরকার যে ভাবে রিকুইজিশন দিয়ে বাস নেয়। তেমন ভাবে রিকুইজিশন দিয়ে বাস নিক মালিকদের থেকে। তাহলে অন্তত বাস চালিয়ে নিশ্চিত করা যাবে কর্মীদের মাইনে। লকডাউনের জেরে যাদের আয় এখন কিছুই নেই। অন্যদিকে এই সব গ্রিন জেলায় বাস নামানো যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে সরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির। প্রয়োজন হলে সরকারি পরিবহণ নিগম বাস চালাতে পারে।
Abir Ghoshal