রাজ্য পরিবহণ দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, লকডাউন পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত বাসে যতজনের আসন ততজন যাত্রীই উঠতে পারবে। কিন্তু বাস্তবে সেই নিয়মকে জলাঞ্জলি দিয়েই যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ। বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের সঙ্গে 'মতান্তরে' রাস্তায় নেমেছে কম সংখ্যক বাস। কিন্তু মানুষকে তো তাদের অফিসে পৌঁছতেই হবে। সঠিক সময়ে বেসরকারী অফিসে না পৌঁছলে কোনও যুক্তিই কাজে আসবে না। তাই বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে সব নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে বাসে উঠে পড়ছেন বহু যাত্রী।
advertisement
হগ এই রুটের বাস সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার। অর্থাৎ ৪০ সিটের বাসের সব যাত্রী ভর্তি হয়ে গেলে আর একজন কাউকেই তোলা হচ্ছে না। স্টপেজ এলে কেউ যাতে কন্ডাক্টরের নিষেধ উড়িয়ে জোর করে বাসে উঠতে না পারে, সেজন্যই বন্ধ রাখা হচ্ছে বাসের দরজার একাংশ। অন্য অংশে কার্যত পাহারাদারের ভূমিকায় কন্ডাক্টার। বাসে যদি একজন বা দুজনের আসন খালি থাকে শুধুমাত্র তখনই স্টপেজ দাঁড়াচ্ছে বাস। যে ক'টি আসন খালি রয়েছে তা দেখে ঠিক সেই ক'জনকেই বাসে তুলছেন কন্ডাক্টর।
শনিবার কামারহাটি থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা যাওয়ার এই বাসের বিভিন্ন স্টপেজ ঘুরে দেখা গেল সত্যিই সরকারি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে এই রুটের বাস। ২৩০ রুটের বাসের কন্ডাক্টর সুকুমার সরকার বলেন, " ইউনিয়ন থেকে আমাদের বলে দিয়েছে কোনওমতেই ৪০ জনের বেশি তোলা যাবে না। কিন্তু স্টপেজে থামলে যদি জোর করে যাত্রীরা ওঠার চেষ্টা করে তাই বাসের দরজার একটি পাল্লা বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাত্রী ভর্তি থাকলে প্রয়োজন ছাড়া কোন স্টপেজ আমাদের বাস থামছে না।"
গণপরিবহণে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আসন প্রতি একজন যাত্রীর নিয়ম মানলেও এই রুটের বাসও ভাড়া বাড়িয়েছে সরকারি আদেশ ছাড়াই। সে ক্ষেত্রে কন্ডাক্টরদের কৌশলী জবাব, মানুষই নাকি তাঁদের খুশি হয় বাড়তি ভাড়া দিচ্ছে।
অন্বেষা দাস নামে এক যাত্রী বলেন, "ভাড়া বাড়লেও অন্য রুটের তুলনায় এই রুটের বাস নিয়ম কানুন ঠিকমত পালন করছে। অর্থাৎ গা ঘেষাঘেষি করে দাঁড়ানো বা অতিরিক্ত যাত্রী তোলার বালাই নেই। তাই নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে বাড়তি ভাড়া গুনতে আপত্তি নেই।"