নতুন স্ট্রেনের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ২০ বছরের ওই ব্যক্তি বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে তাঁর সাম্প্রতিক কোনও ভ্রমণের ইতিহাস নেই।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এখন ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্যদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে এরকম আরও রোগী আছে কিনা, সেটাও খোঁজা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে তাঁদের এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
advertisement
আমেরিকায় প্রথমবারের মতো ভাইরাসটি দেখা দিল৷ এর ঠিক ২ দিন আগেই রবিবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতার কথা জানান সরকারের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি। তিনি বলেন, করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনও আসেনি। দেশ আরও জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
গত মাসে থ্যাংকসগিভিং হলিডে শেষে আমেরিকায় করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে গেছে। সংক্রমণের সংখ্যা ২লক্ষ এবং দৈনিক গড় মৃত্যু ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এ বছর সেখানে বড়দিন ও বর্ষবরণের ছুটিতে পর্যটন আগের থেকে কম হলেও তা উল্লেখযোগ্য বটে৷। রবিবার ফাউচি সিএনএনকে বলেন, এই উদ্বেগের কথা তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি ভয়ংকর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
এর আগে বাইডেন সতর্ক করে বলেন, দেশের অন্ধকার দিনগুলো পেছনে নয়, বরং সামনে এগিয়ে আসছে। এখনও পর্যন্ত আমেরিকার ২০ লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। বছরের শেষে প্রায় ২ কোটি লোক টিকা পাবে বলে ঘোষণা করেছে আমেরিকার প্রশাসন ঘোষণা । এই প্রসঙ্গে ফাউচি বলেন, এপ্রিল নাগাদ যারা অগ্রাধিকার পাবেন তাঁদের সকলকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে তিনি আস্থাশীল। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ জনগণের ভ্যাকসিন পাওয়ার পথ সহজতর হবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভাইরাসটির নতুন এই স্ট্রেইন সদ্য অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। যদিও ইউরোপের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা মনে করছেন, নতুন স্ট্রেইনটির ফলে হয়তো ফাইজার ও বায়োএনটেক-এর টিকার কার্যকারিতায় খুব বেশি হেরফের হবে না।