TRENDING:

কালোবাজারির চেষ্টা করলেও সফল হবে না কালোবাজারিরা, কেন?

Last Updated:

করোনা ভাইরাস (covid-19)আতঙ্কে বাজারে খাদ্যশস্য মজুত করার হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: করোনা ভাইরাস (covid-19)আতঙ্কে বাজারে খাদ্যশস্য মজুত করার হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। সেই সুযোগে গত দু'দিন ধরে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, চড়া দামে আলু বিক্রি করেছেন। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের তৎপরতায় আলুর দাম তবুও বেশ কিছুটা আয়ত্বে এসেছে। কিন্তু মজুত করার প্রবণতা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
advertisement

কলকাতার পোস্তা বাজারে গত দুদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের নানা জেলা থেকে যে সমস্ত খুচরো বিক্রেতারা আসছেন, তারা যে পরিমাণে খাদ্যশস্য সপ্তাহে কিনে নিয়ে যেতেন, তার প্রায় দশগুণ পরিমাণে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই বিক্রেতাদের বক্তব্য, চারিদিকে যে ভাবে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদি আমাদের রাজ্যেও লকডাউন হয়ে যায়। তাহলে মালপত্র পাবেন কোথায়?   এছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে, যদি বাজার বন্ধ থাকে তাহলে খাদ্যদ্রব্যের দাম চড়া হয়ে যাবে।

advertisement

বাজারে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসগুলি পাওয়া যাবে না। আর সেই চিন্তা করেই প্রতিটি খরিদ্দার রীতিমতো দোকানে লাইন দিয়ে ১০ থেকে ১৫ দিনের খাদ্য মজুত করছে।  এই কারণেই  খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে চাহিদা বাড়ার জন্য বেশি করে মালপত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে, বড়বাজারের পোস্তা বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ভাইরাসের আতঙ্কে শতকরা ৩০ ভাগ গাড়ি মালপত্র নিয়ে কম আসছে। প্রতিদিনই আতঙ্কে মুটিয়া থেকে আরম্ভ করে ড্রাইভার, খালাসি ছুটি নিয়ে, তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছে। তবুও পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, মালপত্রের জোগান ঠিক থাকবে।  বেশ কিছু পাইকারি দোকানদারদের দাবি, এই সমস্ত কারণে ভিন রাজ্যের গাড়ি অনেকক্ষণ ধরে রাস্তায় চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকছে। তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য।

advertisement

যদি শরীরের তাপমাত্রা পায় তাহলে পুলিশি হয়রানিতে বড় বেগ হচ্ছে ওদের।  অনেকে দাবি করেন, খরিদ্দাররা আতঙ্কে যেভাবে খাদ্য মজুত করছে, এরপর  তারা আর বেশ কিয়েকদিন দোকানমুখী হবে না। দোকানদাররা এখন বাজার দরের তুলনায় একটু বেশি টাকা দিয়ে জিনিস কিনছেন। এই ঘটনা সব দোকানদারের ক্ষেত্রেই ঘটছে।  অতএব পাইকারি বাজার থেকে মালপত্র গিয়ে উঠবে লোকাল বাজারের দোকানের গোডাউনে।

advertisement

১৫ দিন পর থেকে প্রতিটি জিনিসের দাম খরিদ্দার না আসার ফলে এবং চাহিদা না থাকার ফলে, অনেক কমে যাবে।   সেই সুযোগে,নিজেদের মুনাফার জন্য, বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পুনরায় কালোবাজারির চেষ্টা করবে।  স্থানীয় বাজারগুলোতে সকালে দু'ঘণ্টার মধ্যেই আলু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আলুর দাম স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অনেকটা বেশি।  তবে বাজার মন্দা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে কালোবাজারির সম্ভাবনা আমাদের রাজ্যে।ভিন রাজ্য থেকে আমাদের রাজ্যে ডাল জাতীয় জিনিস থেকে আরম্ভ করে বেশ কিছু খাদ্যশস্য আসে এছাড়া প্যাকেট জাত শিশুদের খাবার ইত্যাদি আসে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বেশ কয়েকটি রাজ্যে লক ডাউন ঘোষণা করার ফলে সেই দ্রব্যগুলো কলকাতার বাজারে ধীরে ধীরে অমিল হয়ে পড়বে। যার ফলে ওষুধ থেকে খাদ্য সমস্ত কিছুতে হাহাকার হতে পারে। আর সেই নিয়ে গুজবের মাধ্যমে বাজারে জিনিসের দাম চড়া হতে পারে।  পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও পুলিশ বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে। হানা দিলেও কিংবা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত হয়ে মজুত না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।সেটা কার্যকর না হলে মুশকিল আমাদের মত মধ্যবিত্ত এবং খেটে খাওয়া নাগরিকদের জন্য।  সরকার বার বার বলছে,আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
কালোবাজারির চেষ্টা করলেও সফল হবে না কালোবাজারিরা, কেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল